…যেনো কোন ফ্যাক্টরির শ্রমিকগণ তাদের অন্যায্য দাবী নিয়ে অনশনে নামতে যাচ্ছে….

অধ্যাপক ডঃ এম. এস. কবীর জুয়েল।

#আমার_বড্ড_কষ্ট_হয়; যখন আমার অধীনে অনারারী ট্রেনিংরত চিকিৎসকগুলোকে দিয়ে দিনের পর দিন বিনে পয়সায় এভাবে পরিশ্রম করাতে থাকি; এদের সকলেই FCPS বা MD এর প্রথম পর্ব করেই আমার এখানে প্রাণান্তকর শ্রম দিয়ে যাচ্ছে, কোন কোন জটিল রোগীর আরোগ্য বিধানে এই Honourary doctor ও Private Resident, Non-resident doctor-গুলো সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা-রাত্রীতে অকাতরে পরিশ্রম করে যায়; বাসায় ফেরা ও ঘুম-খাওয়ার ব্যঘাত ঘটিয়ে প্রান্তিক রোগী ও তার স্বজনদের মুখে হাসি ফোটানোর ব্রতি নিয়ে একাগ্রচিত্তে কাজ করে যায়; দেশীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানকে সমসাময়িক মানে রাখতে মাসিক CME গুলোতে কত্তো যত্ন করে প্রতিটি Critical case আমাদের নিকট তুলে ধরে, রাত জেগে পরিবারকে সময় না দিয়ে ২৫-২৭ বছরের যুবক-টি নানাবিধ বই ঘেঁটে একটি Case Study তৈরী করে যাতে বর্তমান রোগীর ক্ষেত্রে করা কোন অনিচ্ছাকৃত ভুল পরবর্তী রোগীর ওপর প্রভাব না ফেলে —- পক্ষান্তরে তার বিনিময়ে ন্যুনতম আর্থিক সন্মানী টুকুও আজ অনিশ্চিত, অথচ বাহিরে আমি Consultant Psychiatrist হিসেবে কাজ করার সময় দেখেছি, নিজ দেশের পোস্ট গ্রাজুয়েটে ট্রেনিংরত ছাত্র ছাত্রীদের প্রত্যেকে তাদের পরিবারের অন্তত তিনজন সদস্যসহ থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা (Dormitory) পায়, মাস শেষে Handsome Remuneration পায়, যা তাদের Research এর দিকে ধাবিত করে এবং সর্বোপরি প্রাদেশিক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ উচ্চ বেতনে চাকুরীর নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে; হয়তো অধিক জনসংখ্যার দেশ বিধায় আমার দেশে এতোকিছু দেয়া সম্ভব নয় কিন্তু কতো অলাভজনক ও অনিয়মতান্ত্রিক ক্ষেত্রসমূহে তো কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে, সেখান থেকে কিছুটা আর্থিক সাশ্রয় করে হলেও তো এদের ভাতাটি নির্বিঘ্ন রাখা যেতো। এই পবিত্র রমজানে আমি ওদের জোর গলায় আদেশ করতে লজ্জা পাই কারন ওদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তেমন আর্থিক সংস্থান করে দেয়ার ক্ষমতাও আমার নেই, আমি চিকিৎসক সমাজের নীতি নিধার্যক কেউ নই, কোন কেউকেটা-ও নই তবে ওদের কাছে আমার গ্রহনযোগ্যতা আছে, সেই দাবী নিয়েই ওদের মেধাকে আমি যথার্থ মূল্যায়ন করেছি, আমি প্রবাসের বন্ধুবরদের সাথে কথা বলেছি, কিভাবে কোন পদ্ধতিতে মেডিকাল সায়েন্স এ থেকেই উন্নত দেশগুলোতে সন্তোষজনক ভাতাসহ ওরা স্থানান্তর হতে পারে, সেই পথ বাতলে দিচ্ছি, কারন আমি তিনটি দেশে Recruited হয়েছিলাম, বাহিরে দীর্ঘদিন চাকুরী করেছি তবে নাড়ির টানে আবার নিজ ভিটায় ফিরে আসি, যার অনুশোচনায় আজো আমি দুঃখ পাই, এ দেশের মূল্যায়ন আর বাহিরের দেশগুলোর মূল্যায়নে ফারাক অনেক বেশী, তাই আমি ওদেরকে এভাবে ঝরে যেতে দিতে পারিনা, এত্তো মেধাবী ছাত্র ছাত্রী গুলো নিজ খাটুনীর জন্য দুটো পয়সা পেতো, সেটাও ওরা দিতে নানা টালবাহানা শুরু করলো, শেষ পর্যন্ত এই অপার সম্ভাবনাময়ী পরিশ্রমী মলিন মুখ গুলোকে ওরা আবার পথে নামালো, যেনো কোন ফ্যাক্টরির শ্রমিকগণ তাদের অনায্য দাবী নিয়ে অনশনে নামতে যাচ্ছে….এ লজ্জা আমাদের বহুদিন গ্রাস করে রাখবে, যেহেতু এ দেশ ওদের মেধাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে, ওদের জন্য উপযুক্ত বিকল্প খুঁজে বের করার দায়িত্ব তো শিক্ষক হিসেবে আমাদের ওপর বর্তায় — It’s Global Village, Let’s start thinking about AMC, CMC, USMLE, PLAB, NzMC, MMC etc for Australia, Canada, USA, UK, Newzealand, Malaysia and also has Opportunities in Middle East countries (DHA & HAAD for UAE, SCFHS for Saudi Arabia etc).

Leave a Comment