ঈন্সাল্লাহ এ ছাত্ররাই পরিবর্তিত হয়ে অতৃপ্ত শিক্ষকদের চিত্তে শান্তি ফিরিয়ে আনবে…

অধ্যাপক ডঃ এম. এস. কবীর জুয়েল।

#_কাগজপত্রে_পারতপক্ষে_আমি_নিজেকে_এ_দেশের_শিক্ষক_পরিচয়_আর_দেইনা_মনসত্মাত্তিক ভাবে তরুণ প্রজন্ম “Observational Learning”-থেকেই শিখে থাকে, imitate বা অনুকরণ করে থাকে, ঢাকা ভার্সিটিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রমাগত শিক্ষক অপমান, রুয়েট, কুয়েট সহ মেডিক্যাল কলেজগুলোতে নীতি বিবর্জিত দলকানা শিক্ষকদের দারা নীরিহ সৎ ও নীতিবান সহকর্মী শিক্ষকদের নাজেহাল; আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে জিঘাংসার বীজ বপণ করেছে; কুয়েটের সততায় অনড় শিক্ষকটি অপমান লজ্জায় বাথরুমে অকস্মাত অপমৃত্যু হবার পর – তার আজো কোন সুস্পষ্ট তদন্ত বা দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয়নি; এ নজীর থেকেই ওরা শিক্ষকদের অবজ্ঞা করা, অবহেলা করা শিখেছে; এর ওপর যোগ হয়েছে কলুষিত ছাত্র রাজনীতি আর গোলাপী -সাদা – নীল প্যনেলের সুবিধাবাদী শিক্ষক রাজনীতি। সুতরাং ইদানীংকার দু চারটে ঘটনা ( সাভার, নড়াইল) কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং পূর্বের তেতো বিষাক্ত ঘটনাগুলোর পূনরাবৃত্তি। আমরা ধর্ম – বর্ণ – গোত্র নির্বিশেষে সকল শিক্ষকদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিধান কার্যকরের গুরুত্বারোপ করছি। কাজী কাদের নেওয়াজের সুরে বলতে চাই –“- – – – যায় যাবে প্রাণ তাহে, প্রাণের চেয়েও মান বড়, আমি বোঝাব শাহানশাহে। তার পরদিন প্রাতে বাদশাহর দূত শিক্ষককে ডেকে নিয়ে গেল কেল্লাতে। খাস কামরাতে যবে শিক্ষককে ডাকি বাদশা কহেন, ”শুনুন জনাব তবে, পুত্র আমার আপনার কাছে সৌজন্য কি কিছু শিখিয়াছে? বরং শিখেছে বেয়াদবি আর গুরুজনে অবহেলা, নহিলে সেদিন দেখিলাম যাহা স্বয়ং সকাল বেলা” শিক্ষক কন-”জাহপানা, আমি বুঝিতে পারিনি হায়, কি কথা বলিতে আজিকে আমায় ডেকেছেন নিরালায়?” বাদশাহ্ কহেন, ”সেদিন প্রভাতে দেখিলাম আমি দাঁড়ায়ে তফাতে নিজ হাতে যবে চরণ আপনি করেন প্রক্ষালন, পুত্র আমার জল ঢালি শুধু ভিজাইছে ও চরণ। নিজ হাতখানি আপনার পায়ে বুলাইয়া সযতনে ধুয়ে দিল না’ক কেন সে চরণ, স্মরি ব্যথা পাই মনে।” কালের বিবর্তনে বাদশাহ আলমগীর-রা বিলীন হয়েছে সেই সাথে সাহসী নীতিবান শিক্ষকদের স্থান দখল করেছে অযোগ্য এক চাটুকার শ্রেণী, এহেন ব্যার্থতা থেকে পরিত্রান বড্ড দূরুহ ——-, জাতিকে বহু যুগ এর গ্লানী বয়ে বেড়াতে হবে। অন্য দেশে শিক্ষকদের মর্যাদা যারা একবার পেয়েছেন তাদের কাছে এ দেশের তাঁবেদারী শিক্ষক পদবী নিছক বিনোদনের খোরাক মনে হবে। তবুও আমি Always Optimistic, তিনটি সরকারী মেডিকেল কলেজে দেড় যুগের শিক্ষকতায় অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীকে চিকিৎসক রুপে বের করেছি; ঈন্সাল্লাহ অবশ্যই আমাদের ছাত্রেরা পুনরায় শিষ্টাচার, সৌজণ্যতায় প্রত্যাবর্তন করবে ও আমাদের মতো অতৃপ্ত শিক্ষকদের চিত্তে শান্তি ফিরিয়ে আনবে।

Leave a Comment