“Campus Mental Health” এর শাখা প্রতিটি মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে খোলা উচিৎ।

অধ্যাপক ডঃ এম. এস. কবীর জুয়েল।

Re-collection (স্মৃতিচারণ)…
তিন বছর পূর্বে বৈকালিক অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান(Afternoon Shift – 3:30-6:30 pm) হিসেবে যোগদান করেছি, ঢাকাস্থ আশিয়ান মেডিক্যাল কলেজে, ছবিতে তাদের বাৎসরিক উৎসব এর প্রাক্কালে আমার সরকারী মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন কলিগ ও সেই সময়ের আশিয়ান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ Professor Akhtarun Naher ( Former Head of Dept.Microbiology,SSMC) মেডাম এর সাথে বসে ছাত্র ছাত্রীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করছি।
পূর্বে পুরান ঢাকাস্থ ন্যশনাল মেডিক্যাল কলেজে এমনিভাবে Visiting Professor হিসেবে বিকেলে Psychiatry এর লেকচার নিতাম;কারন ওখানেও কোন Psychiatry এর শিক্ষক ছিলো না।
মানসিক রোগ নিয়ে গণ মানুষের মাঝে সমাজে প্রচলিত প্রথাগত যে বদ্ধমূল ভ্রান্ত ধারণা (Stigmas) রয়েছে তা নিরশন কল্পে MBBS DOCTOR – দের মাঝে অবশ্যই Mental Health এর যথার্থ জ্ঞান দিতে হবে, সরকারী চিকিৎসকগণ সকালে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যথাযথ দায়িত্ব পালন করে ২-৩ ঘন্টা সময় বিকেল ও সন্ধ্যায় সহজেই বেসরকারী মেডিক্যাল গুলোতে দিয়ে অনগ্রসর subject গুলোকে ছাত্র ছাত্রীদের নিকট জনপ্রিয় করে তুলতে পারে, এতে একদিকে যেমন Graduate physician -দের জ্ঞান বাড়বে, সাথে সাথে সাধারণ প্রান্তিক গোষ্ঠীর রোগীদের জন্যও অনেক উপকার হবে, তথা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরো গতিশীল হবে। Psychiatrist ও একজন সরাসরি শিক্ষক হিসেবে সরকারী ও বেসরকারী মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে Stress related Disorders গুলোর একটি Comparative study করেছিলাম, মূলতঃ ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাস পরীক্ষাগুলো (Item,Card final,Log book related issues etc) ও সিনিয়রদের রেগিং হেতু কোন ভীতিকর পরিবেশ এবং Co-education বা সহ শিক্ষা ব্যবস্থার কারনে সহজেই বিপরীত লিংগের বন্ধু বা বান্ধবীটির সাথে অজ্ঞাতে আবেগজনিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া ইত্যাদি বিষয়কে Parameters ধরে আমরা বেশ কিছু Data নিয়েছিলাম, অত্যন্ত মজার ব্যাপার সরকারী থেকে বেসরকারী মেডিকেল এর শিক্ষার্থীগণ অনেক কম Stress related disorders (চাপ বা উদ্দেগ জনিত মানসিক সমস্যাজনিত মনোরোগ) -এ ভূগে থাকে।
এর অনেক গুলো কারন আমরা চিহ্নিত করেছি, একই সাথে দুটো দু-ধরনের মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাশ নেবার কারনে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ ও দূঃশ্চিন্তা গুলো আমার নিকট স্পষ্ট হয়ে প্রতীয়মান হতো, এ সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা ইতিপূর্বেও করেছিলাম, আমাদের কিছু প্রস্তাবনা রয়েছে, তমধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে Campus Mental Health নামে একটি wing খুলতে হবে, সারা দুনিয়ায় ই কোভিড পরবর্তী সময়ে শিক্ষাংগন গুলোতে
এ ধরনের মানসিক রোগের আবির্ভাব হয়েছে, তবে আমাদের মতো দেশ গুলোতে এর সাথে যুক্ত হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈতিক ও প্রাসংগিক চিত্ত বিনোদনের স্থানের অভাব, অতি মাত্রায় যান্ত্রিকভাবাপন্ন (Device centric) জীবন যাত্রা এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ছাত্র রাজনীতির মারপ্যাঁচ।
এসব জটিল বিষয় ডিংগিয়ে মেডিক্যাল এর ন্যায় কাঠখোট্টা Subject গুলোর প্রতিনিয়ত পরীক্ষা সম্পন্ন
করতে অনেক শিক্ষার্থীর নাভিশ্বাস উঠে যায়, ফলে তারা Stress Disorders এর শিকার হয়।
পক্ষন্তরে আমরা যদি বিদেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদের সাথে আমার দেশের তুলনা করি তাহলে চিত্রটি আরো হতাশাব্যঞ্জক হবে,আমি মধ্যপ্রাচ্যে চাকুরীর সুবাদে বিদেশে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলাম, পরবর্তীতে মালয়েশিয়ায় শিক্ষক হিসেবে Recruited হয়েও লীয়েন(সরকারী চাকুরী বিধিমালায় বৈদেশিক দীর্ঘ মেয়াদি ছুটি) জটিলতায় যেতে পারিনি, তবে Visiting Professor হিসেবে AIMST(Asian Institute of Medicine, Science & Technology), Kedah, Malaysia – নিয়োজিত আছি, তাই online based class গুলো করাতে হয়, কাজেই আমি সহজেই বিদেশী ছাত্র ছাত্রীদের সাথে আমার নিজ দেশের মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের সর্ব ক্ষেত্রে পার্থক্য নিরুপন করতে পেরেছি। ক্যাম্পাস মেন্টাল হেলথ কেয়ার সেন্টার এর প্রয়োজনীয়তা শুধু মেডিক্যাল কলেজ নয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও সকল পাব্লিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এর শাখা (Wing) থাকা উচিৎ।
আমরা “মন-ঘর” এর পক্ষ থেকে বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে সহায়তা করে যাবো Our Media Coordinator Mr. Kawser Ahmed & IT expert Mr.Saikat will help on behalf of me..
Prof.Dr.Ahmad Seraji

Leave a Comment