Require Weather Subsidies for Marginalised people.

অধ্যাপক ডঃ এম. এস. কবীর জুয়েল।

Require_Weather_Subsidies_for_Marginalised_people_…

আজকের আবহাওয়ায় সারাদিন বেরোতে পারেন নি তিনি, সন্ধ্যার পরে ইফতার করে বেরিয়েছেন ; সত্যি-ই কাঠ ফাঁটা রোদ্দুরে রোজা রেখে ত্রিচক্রযান চালিয়ে নেয়া বড্ড কঠিন কর্ম রাজধানীর ব্যস্ত এ নগরীতে….
কিন্তু সন্ধ্যের পর তো তেমন মানুষ দেখা যাচ্ছেনা, সবাই তারাবী পড়তে গেছে, হয়তো ৯-টার পর কিছুটা ব্যস্ততা শুরু হবে, এই ভেবে নিজ রিক্সার সীটে আনমনে বসে আছেন তিনি,তারাবীটাও সময় মতো পড়া হলোনা, পক্ষান্তরে আজ যাত্রী দৈন্যতা।
…..যেনো বিষন্নতা ভাবাপন্ন কোনো মুখাবয়বের অভিব্যক্তি, মহাজনের টাকাটা উঠবে তো, তারপর যা বাঁচবে সেটা নিয়ে বাসায় যেতে হবে, তিন মেয়ের দুটো বিয়ে হয়েছে, তবে ইতোমধ্যে একটা-র যৌতুক বিষয়ক জটিলতায় তালাক ও হয়ে গেছে, ছোট মেয়েটি অনুদানের স্কুলে পড়লেও, তার সব কিছু সামলাতে হয়, বৃৃদ্ধ চাচী ছুটা কাজ করে মোটামুটি যা কামায় তাতে দিন চলে যেতো, কিন্তু কদিন ধরে হঠাৎ অসুস্থ, এ জন্য তিনি রোজা রেখেও রিক্সা নিয়ে নেমেছেন। অনেকেই এ বয়সে ভিক্ষা করছে; কিন্তু তিনি নবীর হাদিস-টি ভালোই জানেন, নিজেই বললেন — ” ভিক্ষা করন আল্লা পছন্দ করেনা, হালাল হইলেও এইটা করা উচিৎ না ” ;
এ মানুষগুলোর জন্য আমাদের অনেক কিছু করনীয় রয়েছে, যাকাত কায়েমের অপরিহার্যতা এখানে অনুমেয়।
তাকে যদি একটি নিজস্ব রিক্সা ক্র‍য় করে দেয়া যেতো তবে সকাল সকাল রোদ পড়বার আগেই দু তিন ঘন্টার জন্য বেরিয়ে সে নিজের পরিবার চলবার জন্য আংশিক রোজগার করতে পারতো; কিন্তু মহাজনের রিক্সা একবার ৮ ঘন্টার জন্য নিলে পুরো ৪৫০-৫০০/ তাকে দিতেই হবে, সে ক্ষেত্রে তুমি দু ঘন্টা আড়াই ঘন্টা যা-ই চালাও না কেন?
এই মানুষগুলোই জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার, সারা দুনিয়ার পারমানবিক ও গ্রীন হাউস এফেক্টের কারণে তৃতীয় বিশ্বের অপেক্ষাকৃত দরিদ্র দেশগুলোর জনগন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, এ সূর্যের এ উগ্র আচরণে তাদের জীবিকা পরোক্ষভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে, কিন্তু জলবায়ু তহবিলের আর্থিক অনুদান আমাদের মতো দেশগুলোর সরকার কতোটা এ প্রান্তিক গোষ্ঠীর জন্য ব্যয় করছে, আর বিশ্বের মোড়ল দেশগুলোই বা কতোটা সঠিক পদ্ধতিতে এই অনুদান বন্টন করছে, তা নিয়ে Climate Activists দের প্রচন্ড ক্ষোভ রয়েছে । সুইডিশ বালিকা গ্রেটা থুনবার্গ, প্রথম ক্ষুদে পরিবেশবাদী যে নিজের বাবা মায়ে-র কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপারে নিজ দেশে মাস ব্যাপী ক্ষোভ প্রকাশ অব্যাহত রেখেছিলো,
আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদীদের নজরে এলে তাকে Global Climate change summit এ বক্তব্য দেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়, সে প্রতিটি মোড়ল দেশের রাষ্ট্র প্রধানকে তীক্ষ্ণভাবে আক্রমণ করে শ্রমজীবীদের পক্ষে কথা বলে,পরবর্তীতে এ ছোট্ট বালিকা দু-দুটো আন্তর্জাতিক পরিবেশ পুরস্কার পায় তার এই সাহসী প্রতিবাদের জন্য।
Elon Musk -কে আমরা একজন ধনকুবের বিলিয়নার- ট্রিলিয়নার হিসেবেই চিনি, SpaceX, Tesla motors ইত্যাদি নিয়ে সে জনপ্রিয়, সম্প্রতি Twitter এর মালিকানা অর্জন করে সে আরো আলোচিত হচ্ছে, তবে তার আরেকটি পরিচয় আছে সে-ও একজন Climate Activist, ২০১৭ এ ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিলের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর জন্য জলবায়ু তহবিলে অর্থ দেয়া বন্ধ করে দিলেন, তখনই ইলন মাস্ক ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্পের হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তার উপদেষ্টা পদ হতে ইস্তফা দেয়।
প্রশ্ন❓ হচ্ছে দরিদ্র দেশগুলোর উপদেষ্টারা কতোটা ভাবে এই প্রান্তিক মানুষগুলোর কথা, জলবায়ু তহবিলের অর্থের সঠিক বাস্তবায়ন না হলে কজন তাদের লোভনীয় চাকরি ও পদবীতে ইস্তফা দেবে ❓

Leave a Comment