প্রকল্প পরিচালকদের জবাবদিহিতার অভাবে’তাৎক্ষনিক চাপ বা অনাহুত মানসিক আঘাত জনিত মনোরোগ’ (Acute Stress disorder) বাড়ছে এ দেশে।

অধ্যাপক ডঃ এম এস কবীর জুয়েল ‌

অদক্ষ প্রকল্প পরিচালক-দের করায়ত্ত প্রায় প্রতিটি প্রকল্প, ফলে বরদ্দকৃত সময়ের ২-৩ গুন সময় লাগছে, পরিকল্পনায় ত্রুটি হচ্ছে, সেই সাথে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দ্বিগুন, তেমনি এক প্রকল্পের পীড়নে বিগত প্রায় দু-বছর যাবত আমাদের অনেকের চিড়ে চ্যাপ্টা অবস্থা।

অসহনীয় যানজটে অতিষ্ঠ উত্তরা-গাজীপুরমুখী মানুষগুলো, বাসে যাতায়াতকারীদের বায়ুদূষন ও ধুলা বালি নিত্যকার সংগী, যারা নিজ প্রাইভেট কার-এ যাচ্ছে তাদের ঘন্টার পর ঘন্টা গাড়ীতে বসে পিঁপড়ের গতিতে যেতে হচ্ছে, ২৫ মিনিটের পথ ২ – ২’৫ ঘন্টায় ও ফুরোয় না। সময়-শ্রম সব চলে যাচ্ছে যানজটে, সেইসাথে বেড়েছে অকটেনের অধিক খরচা, আমিও একজন রোজকার উত্তরাগামী যাত্রী, গুলশান চেম্বার সেরে উত্তরা যাবার পথে জ্যামে নিরুপায় হয়ে মাঝে মাঝে গাড়ীর ধুলাবৃত গ্লাস মুছে আকাশ দেখতে থাকি; কল্পনায় ভাবি, দুবাই এর মতো মনুষ্যবাহী ড্রোন যদি চালু হতো; অনেকটা ছিঁড়ে কাথায় শুয়ে বিলেতি সপ্ন। মহান আল্লাহর নিকট হাজার কৃতজ্ঞতা গত দু-বছর ধরে আপদ বিপদ কাটিয়ে এই বিধংসী রাস্তায় ধৈর্য্য ধরে যাতায়াত করার ক্ষমতা দিয়েছেন ও নিরাপত্তা প্রদান করেছেন। সোমবার বিকেল(১৫/০৮/২২)-এ উত্তরার জসিমউদ্দীন সড়কের নিকট নির্মানাধীন BRT প্রকল্পের ক্রেন ভেংগে গার্ডার পড়ে চলন্ত গাড়ী দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ার ঘটনাটি নিছক কোন দূর্ঘটনা নয় ইহা প্রজ্ঞাহীন অসাবধানতা, তাচ্ছিল্য -উপেক্ষা আর অবজ্ঞার সমন্নয়, যার জন্য ৫ টি তাজা প্রাণ চলে গেলো; ইহার তদন্ত আবশ্যক। যদিওবা এ দেশে এ সম্পর্কিত তদন্ত প্রতিবেদনগুলো প্রায়ই সূর্যের আলো দেখেনা, আর যদি দু -চারটে বের হয় তা-র সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়না, মূল দায়িত্বশীলকে আড়াল করেউদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়; এ জন্যই অব্যবস্থাপনা আর অনিয়মের বেড়াজালে বন্দী রাজধানীর নগর জীবন। নিহত পরিবারটির প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি, তাদের পরিবারের অন্য সদস্যগণ ঠিক এ সময় ‘Acute Stress Disorder’ বা “তাৎক্ষনিক চাপ বা অনাহুত মানসিক আঘাত জনিত মনোরোগ” -এ ভূগতে থাকবেন; সময়ের সাথে সাথে তা অভিযোজিত হয়ে যায় তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ৪ সপ্তাহ পরেও তা রয়ে যেতে পারে, ইহাকে PTSD বা “Post Traumatic Stress disorder” বলা হয়ে থাকে; এ সময় আক্রান্ত নিকটাত্মীয়টি সেই ঘটনার Vivid image ও ঘটনার সময়কার কষ্টকর মূহুর্তগিলো ভূলতে পারেনা, অনিচ্ছা সত্তেও তা তার মনে জোর করে আসতে থাকে এবং তাকে উদবিগ্ন, বিষন্ন ও অস্বাভাবিক করে তোলে। সেই সাথে যদি ঘটনার বিচার না হয়, দোষী ব্যক্তিগণ শাস্তি না পায়, তা ভূক্তভোগীদের মাঝে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ আর হতাশাকে আরো তীব্রতর করে তোলে। একজন মানসিক বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা ও কাউন্সিলিং এ ধরনের রোগীকে সারিয়ে তুললেও সার্বিক অব্যবস্থাপনা ও নৈরাজ্যের মাঝে সে নিজের আস্থা আর সহজে ফিরে পায়না। It’s never be An Accident Only, It’s Negligence that happened earlier in Dhaka & Chittagong also. High Court should ask for the Explanation to The PD(Project Director) & CE(Chief Engineer).

Leave a Comment