মানসিক স্বাস্থ্যঃ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আমাদের সমাজে ভীষণভাবে অবহেলিত একটি বিষয়। আমাদের শরীরের ছোট-বড় যেকোন ধরনের রোগ হলে, সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে মরণঘাতী ক্যান্সার পর্যন্ত আমরা দৌড়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হই।কিন্তু প্রচণ্ড মানসিক অসুস্থতা বা বিপর্যস্ত অবস্থা আমরা অবহেলা করি অজ্ঞতায় কিংবা লোকলজ্জার ভয়ে। যে অসুস্থতা আমাদের শরীরে টিউমারের মতো বাসা বেঁধে ধীরে ধীরে মরণঘাতী ক্যান্সারের মতো গ্রাস করতে পারে তা সম্পূর্ণভাবে  অগ্রাহ্য করি। পরিবারের যে কেউ বা নিজে মানসিকভাবে ভয়াবহ অসুস্থ হয়েও আমরা চেষ্টা করি লুকিয়ে রাখতে। এ অসুস্থতা নিজের বা পরিবারের কোন সদস্যের জীবনহানির কারণ হতে পারে। এ অসুস্থতা কারো জীবনে কোন দুর্ঘটনা কিংবা মানসিক আঘাত বিবিধ কারণ হতে সৃষ্টি হতে পারে। একটি শিশুর মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা একসময় তাকে মাদকাসক্ত করে তুলতে পারে যা তার মৃত্যুর কারণ হতে পারে কিংবা ভবিষ্যৎ জীবনে তাকে প্রচণ্ড অসুখী করে তুলতে পারে যা তার এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের জন্য জীবনঘাতী হতে পারে।

আমাদের এ ছোট পরিসরে আমরা চেষ্টা করবো বিভিন্ন প্রকার মানসিক অসুস্থতা এবং তা প্রতিকারের কিছু বিবরণ তুলে ধরতে। আশা করি মানসিক অসুস্থতা লুকিয়ে রাখার যে ট্যাবু আমাদের সমাজে বিরাজমান তা থেকে উঠে এসে আপনার পরিবারের অসুস্থ সদস্য (হোক সে আপনি নিজেই) তাকে নিয়ে একটু বিচলিত হবেন এবং একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। নিয়মিত কাউন্সিলিং এবং অল্প কিছু ঔষধে খুব দ্রুত এ রোগ থেকে উদ্ধার পাওয়া সম্ভব। কিন্তু লুকিয়ে এ রোগ পুষলে একদিন তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে।