নতুন প্রজন্মকে ধর্মমুখী করে মাদক ও অন্যান্য আসক্তি থেকে বের করে আনতে হবে।

অধ্যাপক ডঃ এম. এস. কবীর জুয়েল।

শব-ই-মেরাজ এর সঠিক তারিখ নিয়ে মতদ্বৈততা থাকতেই পারে কিন্তু “শবে মেরাজ” নিয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই, তাই এ দিবস-কে ঘিরে নিকটবর্তী একাধিক দিনগুলোতে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের সাথে আলোচনা ও বিজ্ঞান গবেষণা ভিত্তিক ব্যাখ্যা অব্যাহত রাখতে হবে, আমাদের নতুন প্রজন্মের মাঝে ধর্মীয় জ্ঞান সঞ্চারিত করতে এ ধরনের আলোচনা আরো অধিক প্রয়োজন; নইলে ‘হ্যালুইন’ নামে ভূত ভ্যাম্পায়ারদের উৎসব, রঙ মাখামাখির হোলিউৎসব ও সর্বোপরি ‘ভ্যলেন্টাইন’ এর নামে অনাকাঙ্ক্ষিত অবাধ মিশ্রনের দিবসগুলোতে উবে যাবে তাদের সকল ধর্মীয় বিশ্বাস।
যে সকল কট্টরপন্থী ইসলামী বক্তা তারিখ বিভ্রাট এর কথা বলে দিনটি নিয়ে আলোকপাত করাকে নিরুৎসাহিত করছে, তারা মূলত নিজেদের অজ্ঞাতেই ইসলাম বিদ্দেষী শক্তির হয়ে কাজ করছে, Any innovation within Islam is ‘Bid’aat’ — it’s okay…
But এ কথাটি শব-ই-বরাত এর ক্ষেত্রে কিছুটা প্রযোজ্য হলেও অন্যান্য ক্ষেত্রে নয়,কারন শব-ই-মিরাজ তো সহি হাদিস কতৃক স্বীকৃত।
তাছাড়া সব-ই যদি বিদাত হয়, তাহলে রাসুলুল্লাহ(সাঃ) এর সময় ৮ রাকাত (মাঝে মাঝে ১২ বা ২০ রাকাতের কথা জানা যায়) তারাবির নামাজ- ই অধিক প্রচলিত থাকলেও হযরত ওমর (রাঃ) এর সময় রাষ্ট্রীয়ভাবে ২০ রাকাত তারাবির নামাজের মাধ্যমে পবিত্র কোরান খতমের রেওয়াজ চালু হওয়া-কে কি আমরা বিদাত বলবো? অথচ সারা বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম দেশ বরং ইহাকেই সঠিক ও ভালো পদ্ধতি বলে আখ্যায়িত করে ২০ রাকাত তারাবি চালু করেছেন।
সর্বোপরি ইসলাম একটি Relaxed religion এখানে অনেক অনেক ছাড় রয়েছে, আল্লাহ নিজেই বলেছেন যে তিনি তার বান্দাদের জন্য এ ধর্ম পালন ও মেনে চলা সহজ করে দিয়েছেন, মৌলিক বিষয়ে কোন দ্বিমতের সুযোগ নেই তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে শিথিলতা রয়েছে, এই শিথিলতার সুযোগটি আমাদের যুবক-যুবতীদের বোঝাতে হবে, তাদের ধর্মমুখী করে মাদক ও অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধ করতে হবে।

Leave a Comment