বৃদ্ধ বয়সে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে একজন মানুষ নানা ধরনের শারীরিক, পারিবারিক এবং সামাজিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়, যা তাঁর মাঝে প্রচণ্ড মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। এই মানসিক চাপ এবং আভ্যন্তরিন শারীরিক পরিবর্তন তাঁর মধ্যে মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করে, যা বহন করা তাঁর জন্য কষ্টকর। এই মানসিক সমস্যাগুলোকে অনেক সময় উপেক্ষা করা হয় স্বাভাবিক বার্ধক্যজনিত উপসর্গ হিসাবে। কিন্তু যদি পরিবারের বয়স্ক সদস্যটির সমস্যাটি একটু লক্ষ্য করে তা নিবারণের চেষ্টা করা হয় তবে তাঁর কষ্ট কিছুতা হলেও লাঘব করা সম্ভব হবে।

বার্ধক্যকালীন মানসিক সমস্যা সমূহ নিম্নে তুলে ধরা হলঃ

  • ক্রমাগত প্রাত্তাহিক ঘটনাবলী ভুলে যাওয়া।
  • পরিচিত মানুষদের চিনতে না পারা।
  • হঠাৎ রেগে যাওয়া।
  • অকারণে সঙ্গীকে সন্দেহ করা।
  • একা একা থাকা ও কর্মে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।
  • বাসা থেকে একাকী বের হয়ে যাওয়া।
  • অস্থিরতা ও ক্ষিপ্ততা বৃদ্ধি পাওয়া।
  • অস্বাভাবিক ও অসামাজিক আচরণ করা।
  • হঠাৎ কান্না করা।
  • স্মরণশক্তির ধারাবাহিক অবনতি হওয়া।

বার্ধক্যকালীন মানসিক সমস্যায় Pet Therapy খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাইরের দেশে Pet Therapy তে কুকুর জনপ্রিয় হলেও আমাদের দেশ মুসলিম প্রধান হওয়ায় কুকুরের প্রতি সবাই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননা। তাই আমরা Pet Therapy তে পাখি(Bird Therapy) এবং বিড়াল(Cat Therapy) ব্যবহার করি যা ইতোমধ্যে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমরা নিয়মিত কাউন্সিলিং, ঔষধ এবং পোষা প্রাণীর মাধ্যমে বার্ধক্যকালীন মানসিক সমস্যায় সেবা প্রদান করে থাকি। এক্ষেত্রে ফেস টু ফেস কাউন্সিলিং এবং টেলি-সাইকিয়াট্রি দু-ধরণের সেবা প্রদান করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক  ডাঃ এম. এস. কবীর জুয়েল এর সাথে টেলি-সাইকিয়াট্রি সেবা প্রদানে রয়েছেন বার্ধক্যকালীন মানসিক সমস্যা চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ  ডাঃ সুমন আহমেদ (যুক্তরাজ্য)।