আমির হামজা-র ‘স্বাধীনতা পদক’ ও আমাদের কলুষিত সাহিত্যাঙ্গন..

অধ্যাপক ডঃ এম. এস. কবীর জুয়েল।

সব শুনিয়া ও বুঝিয়া আমার ড্রাইভার কহিলো, “সার আমাগো মহল্লায় ‘খুনি কালাম’ বহুত সুন্দর কবিতা লিখে, দুই -চাইর খান গল্প-ও লিখছে, আগে জানলে আমরা হগগলতে মিল্লা কালাইম্মা-র নাম ভি স্বাধীনতা
পদকে প্রস্তাব কইরা রাখতাম।”
প্রতুত্তরে আমি তাকে অভয় দিয়ে বললাম, না সকলে মিলে মিশে নাম দিলে হয়না,বরং তুমি আগামী বছর পদক পাওয়া একজনের সুপারিশ নিয়ে কালামের নাম দিতে পারো, সে ক্ষেত্রে পদক পাওয়া ব্যক্তি খুনি না চোর না বাটপার না ধান্দাবাজ, তা দেখার দরকার নেই, পদক প্রাপ্তি তার সাত খুন মাফ করে দেবে, এটাই বাস্তবতা।
অথবা আরেকটি পদ্ধতি আছে কেরানী মানের সচিবগুলোর মাঝ থেকে দু – চার জনকে ম্যানেজ করবে, কিভাবে ওরা এখন নিজেদের বিকিয়ে দেয় তা সবার-ই জানা, তাদের সুপারিশ হলেও চলতে পারে।
সুতরাং আমির হামজা এবং কালাম -রাই হতে পারে আমাদের ভবিষ্যৎ সাহিত্যের কর্ণধার।

https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%80%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF

জনাব আমির হামজা সাহেবের পুরস্কার বাতিল হওয়ায় আমি যে খুব বেশী উল্লষিত তা নয়, কারন এতে আরেক তৈলাক্ত পুস্তিকা লেখকের কপাল খুলবে এই আর কি?
তবে আমির হামজা-র পুরস্কার প্রাপ্তিতে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছিলো—– এসব তথাকথিত পুরস্কারের নীতি নির্ধারক ও সুপারিশকারী এদেশে সর্বোচ্চ পর্যায়ের দূনীতিবাজদের একাংশ; ঘুনে খেয়ে গেছে ঐসব সাহিত্যিক ও লেখকদের মগজ আর তাদের মেরুদণ্ড এক্কেবারেই মোমসদৃশ।
আড়াল থেকে কল কাঠি নেড়েছে কেরানীর দল —-মধ্য বা পূর্ব আফ্রিকা-র কোন দেশেও কেরানী-দের এমন দাপট নেই, অন্তত জাতীয় কোন পুরস্কার ঘোষণায় কোন প্রভাব নেই, এ দেশটা-র অধঃপতনের নজীর হয়ে থাকবে কথিত স্বাধীনতা পুরস্কার-টি।
সুতরাং আজ হতে একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক ইত্যাদি ক্ষেত্রে সচিবদের সুপারিশ বাদ দেয়া হোক।

Leave a Comment