Education is the movement from “Darkness to Light”.

অধ্যাপক ডঃ এম. এস. কবীর জুয়েল।

#ফ্যসিবাদভিত্তিক_নাস্তিক্যবাদী_শিক্ষা_ব্যবস্থা_কায়েমের_পথকে_ক্রমশ_সুপ্রশস্থ_করা_হচ্ছেAllan Bloom এর মতে, Education is the movement from “Darkness to Light”, সুতরাং একটি জাতিকে ধংস করতে চাইলে প্রথমেই তাদের Education system এ গলদ ঢুকিয়ে দিতে হবে ; তাসের ঘরের ন্যায় ভেংগে পড়বে সে জাতির অন্য সব স্তম্ভগুলো, বহু আগেই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, ধর্মীয় শিক্ষায় বরাদ্দ কমিয়ে তাদের কোনঠাসা করে দেয়া হয়েছে; অথচ উপমহাদেশে শিক্ষার সুতিকাগার হচ্ছে মাদ্রাসা, এমনকি ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো সেই সময় আধুনিক এই মাদ্রাসাগুলোর Concept গ্রহণ করেছিলো, কালের বিবর্তনে মাদ্রাসায় এখন কেবল একমুখী শিক্ষার মাধ্যমে হুজুর তৈরী করা হচ্ছে, হিফজ শিক্ষা অবশ্যই অত্যাবশকীয় কিন্তু সেইসাথে অন্যান্য বিষয়েও যুগোপযোগী জ্ঞানার্জন প্রয়োজন। হিফজ, দাওরায়ে হাদিস, ইফতা বা ফেকাহ ইত্যাদি বিষয় কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, সাথে সমসাময়িক বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয় যুক্ত করলেই ইহাকে আধুনিক রুপ দেয়া সম্ভব, এক সময় রাজনৈতিক কারনেই কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কিছু বিষয়কে মাস্টার্স সমমানে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলো, যা আদৌ বাস্তবায়ন হয়নি। এদিকে স্কুল কলেজে “ইসলাম ধর্ম শিক্ষা” বিষয়টিকে ঐচ্ছিক করা হয়েছে, অনেক English Medium school গুলোতে মুসলিমদের জন্য কেবল Moral Science এর নামে Aethism-এর বীজ ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। ইসলামে অমুসলিমদের প্রতি কতোটা সহনীয় আচরণ করতে বলা হয়েছে -তা ব্যক্ত না করে সম্প্রতি(০৭/১১/২২) উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় তথাকথিত সেক্যুলার বিক্রিত বুদ্ধিজীবিদের প্রণীত সৃজনশীল প্রশ্নে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়িয়ে ধর্মকে হিংস্রভাবে উপস্থাপন করা হলো, সব -ই একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধনের জন্য হচ্ছে, ইতোপূর্বেও বহু প্রশ্নে এরুপ ঔদ্ধত্য তারা দেখিয়েছে। অধর্মীয় ও দেশাত্মবোধহীন কুশিক্ষার অন্ধকার ছড়ানোর এই বিষাক্ত চক্রে মুখ চেনা মানুষ গুলোই পর্দার অন্তরালে ভূমিকা রাখছে কারন সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদ তারাই দখল করে আছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংক্রান্ত সকল অফিস ছাড়াও এমন কি মাদ্রাসা শিক্ষার পদেও মাঝে মাঝে অমুসলিমদের পদায়ন দেখতে পাওয়া যায়, যা স্পষ্ট প্রমাণ করে কিভাবে আগ্রাসী থাবা নিয়ে এগুচ্ছে সেক্যুলার ও নাস্তিক গোষ্ঠী। এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে সংসদে দেয়া একজন বিরোধী দলের সচেতন সংসদ সদস্যে(Perhaps Fakhrul Imam from JP,and later parliamentary body requested him to unremark such issues, very recently he has been moved as Deputy Speaker of so called parliament)-র বক্তব্য থেকে প্রতীয়মান হয়, আমাদের শিশুদের টেক্সট বইয়ের আদ্যোপান্ত পরিবতন করে সেখানে ইসলাম ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পন্ন কবিতা গল্পগুলোর পরিবর্তে ভিন্ন ধর্মীয় মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারার কন্টেন্ট ও নাস্তিকতার ধারণা বহন করে এমন বিষয় স্থলাভিষিক্ত করা হচ্ছে। কিশোর-কিশোরীদের মাঝে শিশুকাল থেকেই ফ্রী-মিক্সিং এর প্রবণতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, প্ররোচনামূলক গল্প প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হচ্ছে প্রশ্ন ও পাঠ্যপুস্তিকায়, অবাধ মেলামেশার দেশ পাশ্চাত্যে যেখানে পর্যায়ক্রমে পরোক্ষভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করে স্কুল কলেজে এসব নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে, পক্ষান্তরে আমাদের এক শ্রেণীর বিকৃত বিবৃতিজিবী আধুনিকতার নামে তা ছড়িয়ে দিতে পাঠ্য পুস্তকে সুড়সুড়ি দিয়ে চলেছে আমাদের কোমল শিশুদের নিস্পাপ মনোজগতে।

Leave a Comment