“আজ যে শিশু পৃথিবীর আলোয় এসেছে, আমরা তার তরে একটি সাজানো বাগান চাই। আজ যে শিশু মায়ের হাসিতে ভেসেছে, আমরা চিরদিন সেই হাসি দেখতে চাই। রেল লাইনের পাশে নয়, অন্ধকার সিড়িতেও নয়, প্রতিটি শিশু মানুষ হোক আলোর ঝর্ণা ধারায়। শিশুর আনন্দ মেলায় স্বর্গ নেমে আসুক। হাসি আর গানে ভরে যাক সব শিশুর অন্তর, প্রতিটি শিশু ফুলেল হোক সবার ভালবাসায়, শিশুর আনন্দ মেলায় স্বর্গ নেমে আসুক।”

কৌতূহলি শিশুর মনে রয়েছে প্রশ্নের ভীর। তাদের অব্যক্ত কথাগুলো শোনানোর আকুতি। কিন্তু আমরা কি শুনতে পাই আমাদের শিশুদের না বলা কথাগুলো? তাদের মনের মাঝে বয়ে চলা কত শত অভিব্যক্তি, কষ্ট, ভয়, একাকীত্ব, প্রশ্নের ঝড়?

আমাদের শিশুদের সাহায্য করার জন্য, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিশুদের মাঝে যে মনোরোগের লক্ষণসমূহ দেখা যায় তা সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করছি—–
>> অটিজম বা ভাবের আদান-প্রদানে সমস্যা
>> অতি চঞ্চলতা ও মনোযোগহীনতা
>> অতিরিক্ত রাগ, জিদ, ভাংচুর করা
>> তোতলামী ও পঠনে সমস্যা
>> লিখাপড়ায় অনীহা বা অমনোযোগহীনতা
>> স্কুল পালানো, স্কুলভীতি
>> লিখাপড়ায় ক্রমাবনতি
>> স্কুলের বন্ধুদের সাথে ঝগড়া-বিবাদ করা
>> নিরীহ মানুষ, পশু-পাখির সাথে রুঢ় আচরণ করা
>> অবাধ্য হওয়া, মিথ্যা বলা
>> ক্রমাগত হুমকি প্রদান ও ভীতি প্রদর্শন করা
>> আগুন লাগিয়ে আনন্দ করা
>> বিছানায় প্রস্রাব করা
>> আত্মঘাত বা নিজেই নিজেকে আঘাত ও কষ্ট দেওয়া।

আপনার শিশুর মাঝে যদি উপরোক্ত লক্ষণগুলো হতে একাধিক লক্ষণ দেখতে পান, তবে দেরী না করে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন। উপযোগী কাউন্সিলিং এবং অল্প কিছু ঔষধ আপনার শিশুকে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ থেকে উদ্ধার করতে পারে। মনোরোগ অন্য সব রোগের মতো একটি রোগ যা সময়মতো চিকিৎসা করলে সম্পূর্ণ সুস্থতা পাওয়া সম্ভব। লোকলজ্জা, ভয়, সামাজিক গোঁড়ামি বা অজ্ঞতায় থেকে নিজের সন্তানের বিপদ বৃদ্ধি করবেননা। প্রতিটি শিশুর জীবন হোক সুন্দর, নিরাপদ ও আনন্দদায়ক, এই প্রত্যাশা আপনাদের কাছে।

বিশেষায়িত শিশুদের জন্য বিকল্প প্রশিক্ষণ সমূহ(Alternative Management for Special Children)