ধর্মভিত্তিক নৈতিক শিক্ষার অভাবে মনুষ্যত্ব, পশুত্বে পরিণত হয়।

অধ্যাপক ডঃ এম. এস. কবীর জুয়েল।

একদা ড.শমসের আলী(Former Professor & Head of Applied Physics, DU)–দের ন্যায় জ্ঞানী মানুষদের জ্ঞান গর্ভ আলোচনায় প্রতিনিয়ত টিভি চ্যনেলগুলো মুখরিত থাকতো, এ আলোচনায় উঠে আসতো সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় ইসলামের অবদান, পারস্পরিক মূল্যবোধ ও শ্রদ্ধাবোধ অক্ষুণ্ন রেখে ভিন্নাবলম্বীদের সাথে সহাবস্থান, সর্বোপরি ইসলামের আলোকে শান্তি সম্প্রীতির বাংলাদেশে গড়ার উপদেশাবলী, সেইসাথে নতুন প্রজন্মকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোতে বিজ্ঞানভিত্তিক ধর্মীয় বিশ্বাসের রীতিমতো প্রতিযোগিতা হতো। কালের বিবর্তনে সে প্রথা বিলুপ্ত হয়ে আজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে নাস্তিক্যবাদের চর্চা হয়, ফ্রী মিক্সিং এর রিহার্সাল হয় আর আঁটোসাটো-খাটো পোশাকের পক্ষে শ্লোগান লিখে উচাটন মেয়েদের দিয়ে প্ল্যাকার্ড সেঁটে নগ্নতাকে উস্কে দেয়া হচ্ছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার কোন প্রতিবাদ নেই, গুম -খুনের প্রতিবাদ নেই, নেই প্রতিবাদ অন্যায়-অবিচার দূর্নীতির; কেবল খুঁজে খুঁজে ইসলাম বিদ্দেষী কর্মকান্ডের চর্চা হচ্ছে, তারাই এখন গণধিকৃত তথাকথিত টক শো এর মূখ্য আলোচক, তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যাপক ও প্রতিদিনকার ধর্মহীন আলোচনার মধ্যমনি। এ জন্য এদের মন ও মস্তিস্ক বিকৃত হয়ে যাচ্ছে, মনুষত্তের স্থান দখন করছে পশুত্ব, এরা জীবন্ত মানুষকে গাড়ী চাপা দিয়ে গাড়ীর চাকায় আটকিয়ে টেনে হেঁচড়ে ২-৩ কি.মি. পর্যন্ত নিয়ে যায়,অথচ এর প্রতিবাদ সরুপ ক্যম্পাসে কাউকে ব্যানার প্ল্যাকার্ড বহন করতে আদৌ দেখা যায়নি। সমাজে এদের অমানুষিকতার কুপ্রভাবে বর্বরতা বেড়েছে ত্রিগুন, গত ১ সপ্তাহে দু-দুটো শিশুকে টুকরো করে নর্দমায় পুঁতে রাখা হয়েছে, বিচারের শৈথিল্যে পশুত্বে আজ ভরপুর সমাজ সংসার। প্রত্যাশা আবার ভার্সিটি-মেডিকেল কলেজ– ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে নৈতিকতার যুক্তিপূর্ন আলোচনা হবে, আবার তৈরী হবে সহাবস্থান, আবার প্রতিষ্ঠিত হয়ে উড়বে মানবতার নিশান। পুনরায় ড.শমসের আলী(Former VC,South East University)-র মতো বিজ্ঞজনদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনুষ্ঠান করতে পারবো ঈন্সাল্লাহ ।

Leave a Comment