মেলা খেলাগুলোতে ডেল্টা -অমিক্রন ভ্রাতৃদয়ের প্রবেশ নিষেধ, এরা কেবল এ দেশের বিদ্যালয়মুখী।

অধ্যাপক ডঃ এম এস কবীর জুয়েল।

” NOW CHILDREN ARE EXPECTED IN SCHOOL, NOT IN THE BOOK FAIR “

অনলাইনে_হওয়া_উচিৎ_ছিলো_বইমেলা_আর_স্কুল_গুলো_খুলে_ব্লেন্ডিং_পদ্ধতিতে_ক্লাশ_চালু_করতে_হবে।

অতিমারী-র সময়ে বুঝতে হবে কোন মেলা অত্যাবশকীয় আর কোনটা বাহুল্য_ ভেবেছিলাম ফেব্রুয়ারীর প্রথম থেকেই স্কুলগুলো খুলে যাবে, শিক্ষার্থীদের পদচারণায় পূনঃ মুখরিত হয়ে উঠবে বিদ্যালয় চত্তর, কিন্তু ঘটলো ঠিক উল্টো — বাংলা একাডেমি চত্তরকে খুলে দেয়া হলো, একমাত্র দেশ যেখানে সবার্ধিক সময় স্কুল-কলেজ বন্ধ(According to the data of UNICEF,upto 5th sept’21) থাকা সত্ত্বেও institution সমূহে social distancing রক্ষার্থে কোন Infrastructure তৈরী করতে বাধ্য করা হয়নি, অনলাইন ক্লাশের কোন Accountable Standard Protocol এখনো তৈরী হয়নি, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ন্যায় শিক্ষার্থীদের টিকাকে অগ্রগন্য করে তাদের স্কুল খোলাকে সর্বাগ্রে উপস্থাপন করা হয়নি।
বরং মাসের পর মাস স্কুল বন্ধ রেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পংগু করে দেয়া হচ্ছে; পক্ষান্তরে সকল ধরনের বাহুল্য মেলায় ব্যস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র, আর তার-ই অংশ হিসেবে বানিজ্য মেলার পর শুরু হয়েছে “বই মেলা”; চলছে BPL ও বসুন্ধরার Home ground –এ গ্রুপ পর্বের ফুটবল খেলা…
—-কথিত আছে —
খেলা ও মেলাগুলোতে ডেল্টা -অমিক্রন ভ্রাতৃদয়ের প্রবেশ নিষেধ, এবং এ জীবাণুগুলো নাকি কেবল এ দেশের বিদ্যালয়মুখী। দিনের পর দিন এক শ্রেণীর চাটুকার নীতিমালা প্রণয়নকারীগণ এ জাতীয় সংকেত -ই জাতিকে দিয়ে যাচ্ছে…..
আজ-কাল এক শ্রেণীর লেখা মানেই চাটুকারিতা, এ লেখা কক্ষনো কালোত্তীর্ণ হবেনা, কালের গহবরে হারিয়ে যাবে, যে লেখক শত প্রতিবাদী প্রেক্ষাপটেও আবুল মার্কা জ্ঞানান্ধ উপন্যাস-গল্প লেখে, প্রজন্মকে ‘তুমি আমি – আমি তুমি’ গেলাতে ব্যস্ত থাকে, তাদের লেখক বলে আখ্যায়িত করা বাংলা সাহিত্যের জন্য অপমানকর, এ জন্য আর নজরুল, শুকান্ত, গবিন্দ দাস, ফররুখ তৈরী হচ্ছেনা —
নজরুল জেল খেটেছেন, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছেন, বৃটিশ খেতাব ফিরিয়ে দিয়েছেন — এ জন্যই সে বিদ্রোহী কবি…
পাকিস্তানী জুলুম আর অথনৈতিক বৈষম্যের প্রতিবাদ করতে গিয়ে কবি ‘ফররুখ আহমদ’ পাকিস্তানি স্বৈরাচারী শাসক এক জেনারেল এর দেয়া ‘সিতারা -ই – ইমতিয়াজ’ পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
চাটুকার পরিবেষ্টিত বইমেলায় কোনদিন ও জাতির ক্রান্তিলগ্নের পাণ্ডুলিপিটা লেখা হবেনা, কেবল স্তুতিবাক্য আর প্রশংসাবাণীতে ভরপুর পুস্তিকা প্রকাশিত হতে থাকবে, এ বইমেলা অন্তঃসার শূন্য —
শিশু -কিশোরদের এখানে শেখার কিছুই নেই, Please
Reopen their schools & re-establish academic programmes…. Please… Please.. Please Protect the forthcoming generation from Devastating Cyber addictions…..Violent Gaming, Internet gambling, Social media fascination, Pornography etc…..
এমনিতেই শিক্ষা সূচকে সারা বিশ্বের ১৩৮ টি দেশের মাঝে বাংলাদেশের অবস্থান ১২২, আর দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনিম্নে। দুনিয়ার তাবৎ নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ৫০০ টির তালিকায় কেবল বাংলাদেশের বসুন্ধরাস্থ একটি প্রাইভেট ভার্সিটি রয়েছে, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বহু আগেই ছিটকে পড়েছিলো, মাত্রাতিরিক্ত রাজনৈতিক নিয়োগ আর আবরার হত্যার পর বুয়েট ও বাদ পড়েছে ; প্রশ্নফাঁস — অটোপাশ আর ভার্সিটি, মেডিক্যাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটসহ সর্বত্র অযোগ্য শিক্ষকদের পদায়ন ও পদোন্নতিতে ভংগুর শিক্ষা ব্যবস্থার বিন্দুমাত্র উন্নতি কি এনে দেবে করোনাকালের এই রমরমা ব্যবসায়িক বইমেলা ??

Leave a Comment