Community Psychiatry has A Great role in implementing Islamic Financial System..

অধ্যাপক ড. এম. এস. কবীর জুয়েল।

ইসলামী অর্থনীতি চালু করতে আমাদের মতো দেশগুলোকে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হবে, নানা বাধা বিপত্তি আসবে, যা-র মুখোমুখি এখন তুরস্ক।
মি.এরদোগান এখন সারা বিশ্বের সূদী সংস্থা সমূহের নিরব হামলার শিকার, ফলে তার দেশীয় মূদ্রা লীরা মারাত্মক হুমকির সম্মুক্ষিন; তবুও বেশ কিছু বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তায় তুরস্ক ডলারের বিকল্প তৈরী করেছে, সূদহীন অর্থনীতি বাস্তবায়নে কৌশল অবলম্বন করেই যাচ্ছে। আমাদের দেশে কিছু ব্যংক ধর্মীয়মনাদের আকৃষ্ট করতে মূলত সূদী ব্যবস্থা-র মাঝেই একটি ইসলামী বহিরাবরন তৈরী করে বিভিন্ন ইসলামী পরিভাষায় তাদের ব্যংকিং লেনদেন করে থাকেন, কেউ এটাকে নাম দিয়েছেন সাদিক, কেউ মানারাহ, কেউ হাসানা ইত্যাদি, কিন্তু তাদের অধিকাংশই কেবল ইসলাম-প্রীতি ও আল্লাহ -ভীতি সম্পন্ন মানুষগুলোকে আকৃষ্ট করার জন্য, প্রকৃত অর্থে ইসলামী নীতিমালায় ব্যাংকিং চালু করতে চাইলে ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সমগ্র দেশে তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিলে বিশ্বের সূদী ব্যবস্থাধীন পুঁজিবাদী মোড়লরা আমাদের দেশেও একই স্টীম রোলার চালাবে, তারা মালয়েশিয়াতেও একই ভাবে চাপ সৃষ্টি করায়, মালয়েশিয়া সরকার ধীরে ধীরে প্রাদেশিকভাবে মানুষদের মাঝে ইহার বাস্তবায়ন ঘটাচ্ছে; একটি নতুন ধাচের অর্থ ব্যবস্থার সূচনা করার পূর্বে অবশ্যই আরো বেশী Feasibility study প্রয়োজন রয়েছে, মালয়েশিয়ার মতোই মি. এরদোগান আরেকটু ধীরগতিতে এগুতে পারতেন কারন পশ্চিমা ধাচের জীবন যাত্রায় অভ্যস্ত তুরস্কে এখনো সেক্যুলারদের আধিপত্য রয়ে গেছে; তাছাড়া বামপন্থি ও নাস্তিক্য চিন্তার ধারক বিরোধী দলগুলো এ অসময়ে জণগনের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি করে ফেলতে পারে, এ জন্য জণগনের মাঝে প্রথমে যাকাত-ওশর ও সাদাকা-র বিশ্বাসকে দৃঢ করতে হবে, কম পক্ষে ৬০% মানুষের মনস্তাত্মিক পরিবর্তন অবশ্যই ঘটাতে হবে; সম্পদ চিরস্থায়ী নয়, আমরা কেবল ইহা-র সাময়িক ভাগীদার; ধনীদের সম্পদে অধিকার রয়েছে গরীব ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর, ইহা প্রদানে সমাজের অবকাঠামোগত পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেরও আত্মীক উন্নয়ন সাধিত হয়, নিজের সম্পদ পরিশুদ্ধ হয়,সর্বোপরি পারলৌকিক জওয়াবদিহিতার জন্য নিজেকে তৈরী করা হয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন আমরা ইসলামী অর্থনীতি চালু করবো, শুধু কি নিজেদের পারলৌকিক সার্থে, তাহলে তো অবিশ্বাসী(Atheists)–রা ভেটো দেবে, পার্থিব সুখ শান্তিতে বিভোর পুঁজিবাদীরা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে। কারন সূদী ব্যংকিং এর সকল ইহলৌকিক সুবিধা-ই এই ধনীক
শ্রেণী নিয়ে নিচ্ছে; একটি ব্যাংকে মাত্র ১০% বিনিয়োগ থাকে পরিচালকদের বাকি ৯০% সাধারণ জণগনের;
অথচ খেয়াল করলে দেখা যাবে, পুরো ব্যাংকটির অর্থঋণ ব্যবস্থা – ক্ষুদে বিনিয়োগকারীদের জিম্মি বানিয়ে লভ্যাংশ বা সুদ না দেয়া, তাদের টাকা বিভিন্ন উছিলায় আটকে রাখা, আর ঋণ গ্রহীতাদের সাথে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অধিক সূদ ও চক্রবৃদ্ধি সূূদ আদায় করা এবং যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত না করেই জমানত না রেখেই ব্যক্তি ও পারিবারিক পরিচয়ে দূর্নীতিগ্রস্থদের ঋণ দিয়ে অধিক ঋণখেলাপী তৈরী করা, প্রায় ব্যাংকের -ই বৈশিষ্ট্য হয়ে দাড়িয়েছে।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষিতঃ বিবেচনায় এ কথা অনায়াসেই বলা যায় যে, ইসলামী অর্থনীতির ভিত মজবুত হলে E-valy, E-Orange, এহসান গ্রুপ ইত্যাদির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা বা জালিয়াতি পদ্ধতির চির অবসান ঘটবে।
—-” O you who believe! Eat not Riba (usury) doubled and multiplied, but fear Allah that you may be successful.
(Quran, Al-Imran, Chapter 3, Verse 130)”
Turkey decided to turn its entire Economy toward Islamic ways; So World Bank, IMF & other Zionists Indirectly made an alliance To prevent it and influence to devalueate the essence of currency of Turkey, Lira…but we should appreciate the initiative, taken by President Erdogan. —
—Prof.M.S.Kabir Jewel —

তুরস্কের লীরার মান কমে যাওয়ার কি কারন থাকতে পারে, তা একজন সচেতন অর্থনীতিবিদের পেজ থেকে সংগৃহিত চুম্বক অংশ —★★
মুদ্রার মান কিভাবে নির্ধারিত হয়?
.
তুর্কি মুদ্রা (লিরা) দীর্ঘদিন অব্যাহতভাবে মান হারাচ্ছিল। অথচ তাদের মুদ্রার মান (বা অর্থনীতির অবস্থা) খারাপ হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল না। সম্প্রতি আরব আমিরাত তাদেরকে ১০ বিলিয়ন ডলার প্রদান করে এবং তাদের মুদ্রার মান দ্রুত ও কার্যকরভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। প্রশ্ন হচ্ছে- এই মুদ্রার মান কিভাবে নির্ধারিত হয়?
.
দেখুন, মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে অন্যান্য সাধারণ পণ্য বা সেবার মতো করে চাহিদা ও জোগানের উপর ভিত্তি করে মুদ্রার মান নির্ধারিত হয়। আবার, চাহিদা ও জোগানের প্রভাবকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি ও সরকারের রাজস্ব নীতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। মুদ্রার মান নির্ধারণের অনেকগুলি প্রভাবক থাকতে পারে, যেমন-
.
১. প্রকৃত সুদ হার(+)
যে সকল দেশের ব্যাংক ও সিকিউরিটি ব্যবস্থায় উচ্চ সুদ হার অফার করা হয় তাদের মুদ্রার মান বৃদ্ধি পায়। এর কারণ হলো- স্থির আয়ের বিনিয়োগকারীরা উচ্চ সুদের হারের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে, যা মুদ্রার চাহিদা, তথা মান বৃদ্ধি করে।
.
২. প্রকৃত মুদ্রাস্ফীতি(-)
উচ্চ মূল্যস্ফীতি স্থানীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে কিন্তু মুদ্রা ধারকের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস করে। তাই, যে সকল দেশে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি বিরাজ করে, তাদের মুদ্রার চাহিদা হ্রাস পায় এবং এ কারণে মুদ্রার মানও হ্রাস পায়। [অনুন্নত দেশে নিয়ন্ত্রিত মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতির জন্য সুফল বয়ে আনে]।
.
৩. মূলধন প্রবাহ(+)
মুদ্রার চাহিদা, তথা মানের জন্য মূলধন প্রবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক। কোনো দেশে যখন মূলধন প্রবাহের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটে তখন তা মুদ্রার মান বৃদ্ধি করে। বিপরীতে, মূলধন যখন বিদেশে চলে যায় তা মুদ্রার অবমূল্যায়ন করে।
.
৪. অর্থ সরবরাহ(-)
অর্থ সরবরাহ বলতে নির্দিষ্ট একটি সময়ে দেশের মধ্যে অর্থের উপস্থিতি বোঝায়। অর্থ সরবরাহ যত বেশি হবে, মুদ্রার মূল্য তত কম হবে এবং অর্থ সরবরাহ যত কম হবে, মুদ্রার মান তত বেশি হবে।
.
৫. ব্যালান্স অব ট্রেড(+)
বিদেশে পণ্য রপ্তানি করলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। আবার, বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করলে বৈদেশিক মুদ্রায় মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এই অর্জন ও পরিশোধের পর যা অবশিষ্ট থাকে তা হচ্ছে ব্যালান্স অব ট্রেড। এটা মুদ্রার মান বৃদ্ধি করে। রেমিট্যান্সের কারণেও ব্যালান্স বৃদ্ধি পায়।
.
৬. ক্রয় ক্ষমতার সাম্য(-/+)
Purchasing Power Parity (PPP) এর মাধ্যমে মুদ্রার মান নির্ধারিত হতে পারে। যেমন, বাংলাদেশে ১ কেজি গুঁড়া দুধের মূল্য ১০২০ টাকা, কিন্তু অ্যামেরিকায় ১২ ডলার। এর অর্থ হচ্ছে- বাংলাদেশি ১০২০ টাকা = অ্যামেরিকান ১২ ডলার। অর্থাৎ প্রতি ডলারের মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৮৫ টাকা করে।
.
এবার দুটি বিকল্প মূল্যের নিকাশ-

ক) বর্তমানে কুয়েতি দিনারের মান সবচেয়ে বেশি। সারা বিশ্বে ডলারের মাধ্যমে তেল ক্রয়-বিক্রয় হলেও কুয়েতি তেলের দাম কুয়েতি দিনারেই পরিশোধ করতে হয়। আর, তেলের চাহিদা কখনই হ্রাস পায় না। তাই, যোগান অপেক্ষা চাহিদার পরিমাণ বেশি থাকায় কুয়েতি দিনারের বিনিময় মূল্যও বেশি।
.
খ) চাহিদা ও যোগানের তারতম্য এবং দ্রব্যমূল্যের পার্থক্যের কারণে জাপানি ইয়েন ও দক্ষিণ কোরিয়ান ওনের চেয়ে বাংলাদেশি টাকার মান বেশি। এর অর্থ এই নয় যে, ঐ দেশের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ। কারণ, অর্থনীতির কাঠামোর উপর নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রার চাহিদা ও যোগান এবং দেশের দ্রব্যমূল্যের উপর ভিত্তি করে মুদ্রার মান নির্ধারিত হয়।
.
মুদ্রার মান হ্রাস বা বৃদ্ধির প্রত্যাক্ষ প্রতিক্রিয়াশীল প্রভাবকগুলো ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করেছি। এছাড়াও কিছু প্রভাবক রয়েছে, সেগুলো বর্ণিত প্রভাবগুলোর মধ্যে ব্যাখ্যা করা সম্ভব। আমি নিজে অর্থনীতির ছাত্র না হওয়ায় আলোচনা সম্ভবত সহজবোধ্য হয়নি। তাই, নিজ গুণে বুঝে নেবেন।
.
যাহোক, পোস্টের শুরুতে বলেছিলাম- তুর্কি মুদ্রার মান খারাপ হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল না। তাহলে, কেন লিরা’র মান পতিত হয়েছিল? কেউ ব্যাখ্যা করতে পারবেন?
Courtesy: Mohammad Salimullah

Leave a Comment