আমেরিকা নিয়ে আমার ধারনা পরিবর্তিত হচ্ছে… এবার সাইকিয়াট্রিক কনফারেন্সে যেতে পারি।
অধ্যাপক ডঃ এম এস কবীর জুয়েল।
US_Visa_act acting on Me also….But Positively.
After A long gap, me became fan of The recent foreign policy of US, Now may take decision to participate Psychiatric seminars in USA.
২০০৬-এর এই ‘মে’ মাসেই আমি আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন(APA)-এর মেম্বার হই, তখন মাত্র ৩ জন বাংলাদেশ হতে Overseas Member ছিলো, বিগত ১৭ বছরে বহু সাইন্টিফিক সেমিনারের অফার, অসংখ্য কনফারেন্স এর দাওয়াত পেয়েছি, No doubt —
বহু নতুন নতুন Research based email পেয়েছি প্রতি সপ্তাহে, ফলে মানসিক রোগ সম্পর্কে up-to-date থাকতে পেরেছি, কিন্তু আমার সব সময়ই আমেরিকা নিয়ে নেতিবাচক ধারনা বিরাজ করতো, বিশেষ করে আফগানিস্তানে নিরীহ মানুষগুলোকে ড্রোন দিয়ে হত্যা, ফিলিস্তিন সমস্যা জিইয়ে রাখা, মিছে তকমা (WMD-Weapon for Mass Destruction) দিয়ে ইরাক-কে লন্ডভন্ড করে ফেলা ইত্যাদি মেনে নিতে পারতাম না, এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে চাকুরী করার সময় থেকেই মিশরের স্বৈরাচারী এক নায়ক প্রেসিডেন্ট হোসনী মোবারক এর দল দারা বিতাড়িত বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিকট থেকে নিজ দেশে(Egypt)-র দূর্দশার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে বিশদ জানতে পারি, পরবর্তীতে মিশরে গনতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসী-কে হটিয়ে জেনারেল আব্দেল্লা সি সি কে স্থলাভিষিক্ত করাতেও যুক্তরাষ্ট্র সৌদিকে সাহায্য করেছিলো; এদিকে সিরিয়ান বিশেষজ্ঞ কলিগ-রা তাদের দীর্ঘ দিনের স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের পিছনে আমেরিকান ভূমিকা নিয়ে সদাই অসন্তষ্টি প্রকাশ করতো, সুদানী চিকিৎসক কলিগ-রাও তাদের স্বৈরশাসক ড. ওমর আল হাসান বশির -এর প্রতি আমেরিকান সমর্থন এর কথা বলে উষ্মা প্রকাশ করতো, তিউনিসীয় ডাক্তার কলিগরা তাদের দেশের স্বৈরাচার প্রেসিডেন্ট বেন আলি-র প্রতি মার্কিন সমর্থনকে সদা সমালোচনা করতো—
তাই প্রতি বছর American Psychiatric Association(APA) এর invitation পেলেও কক্ষনোই যেতে ইচ্ছে করতোনা। আমেরিকা দেশটা-র সর্বাধুনিক মেডিকেল সয়েন্স-এর জ্ঞানসমূহ আহরন করতে চাইতাম, পক্ষান্তরে সারা বিশ্বে নানাবিধ অশান্তি ও স্বৈরশাসকদের সৃষ্টির জন্য মনে মনে একটা নেতিবাচক অভিমান-ও পোষন করতাম; কিন্তু এই চলতি মে(May’23)- মাসে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসন এর বেশ কিছু উদ্যোগ আমাদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে, তুরস্কের কট্টর ইসলামপন্থি নেতা, নিজ দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে মেনে নিয়ে তুরস্কের নিরপেক্ষ গনতান্ত্রিক নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়ায় আমেরিকান কূটনীতি নিঃসন্দেহে সাধুবাদ পেতেই পারে, আবার পাকিস্তানের বিচার বিভাগ সেখানকার ইসলাম ভাবাপন্ন নেতা ইমরান খানকে সর্মথন করলে যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যক্ষভাবে এখনো কোন বিরোধীতা করেনি।
ফিলিস্তিন নিয়েও বাইডেন প্রশাসন এর দৃষ্টিভংগী ইতিবাচক, উল্লেখ্য বাইডেন আমলেই আফগানিস্থান থেকে ১৯ বছর পর আমেরিকান নৌ বহর সহ সকল সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়। সর্বোপরি বাংলাদেশ নিয়ে গত ২৫-শে মে মি. ব্লিংকেন এর দেয়া বিবৃতি বর্তমান অগণতান্ত্রিক অনিশ্চিত বাংলাদেশের জণগনের জন্য একটা শুভ বার্তা বয়ে এনেছে, সকলের প্রত্যশা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এর পথ সুপ্রশস্ত করবে, যা এদেশের আপামর জনসাধারনের দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময়ের বহুল প্রতিক্ষিত বিষয়।
স্বাধীনতার ৫২ বছরের বেশী সময় পার করেও একটা Free Fair Poll(Election) এর জন্য যখন তীর্থের কাকের মতো এ দেশের মানুষ মুখিয়ে ছিলো, আর পার্শবতী ব্রাম্মাণ্যবাদী রাষ্ট্র আরেকটি নীশি নির্বাচনে সহায়তা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, ঠিক এ সময় মি. বাইডেন এর পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশকে গুরুত্ত্ব দেয়ার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
Now we could appriciate the strategic diplomacy of United States that helping us to rectify our undemocratic cultures in every sectors.