২০০৮ -এ মানসিক রোগ সম্পর্কিত সাইন্টিফিক পেপার প্রেজেন্ট করে JSPN-fellowship Award অর্জন করেছিলাম।
—অধ্যাপক ডাঃ কবীর জুয়েল।
অধ্যাপক ডঃ এম. এস. কবীর জুয়েল।
আজ বাদ কাল ঈদ, অথচ আজ দেশে রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ছিলো, আমার ধারণা যদি কাল ঈদ না হতো রাষ্ট্রীয়ভাবে ২-৩ দিন শোক ঘোষনা করলেও বাংলাদেশের সচেতন মানুষ প্রয়াত জাপানী প্রধাণমন্ত্রী শিনজো আবে’ প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তা পালন করতো, তার সময়ে এ দেশে অভাবনীয় জাপানী বিনিয়োগ ছাড়াও যে বিষয়গুলো নতুনভাবে নতুন উদ্যোমে যুক্ত হয়েছিলো, তা হচ্ছে Medical science, Engineering sector, Agricultural sector, Literature & Cultural affairs – এ বাংলাদেশসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোকে সহায়তা করা, এশিয়ার নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে JICA, JETRO,JSPN ইত্যাদি অসংখ্য জাপানিজ Organisations -কে তিনি একত্রে কাজ করে অবারিতভাবে সহায়তা প্রদানের জন্য তাগিদ দিয়েছিলেন।
তিনি অত্যন্ত দূরদর্শী ও এতোটাই জনপ্রিয় ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতা ছিলেন যে এ যাবতকালের সর্বাধিক সময়ের Japanese PM হলেন Shinzo Abe এবং অবশ্যই তা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে, তার Liberal Democratic Party (LDP) থেকে তাকে মনোনয়ন দিয়ে করা হয়, Abee theory বা আবে তত্ত সমগ্র জাপানে এতোটাই প্রভাব ফেলে যে, LDP কয়েকবার কেবল তাঁর জন্যই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় এবং তিনি বার বার প্রধানমন্ত্রী হন।
অনেকেই মনে করেন মি.শিনজো আবে কেবল ২০১২-২০২০ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, না ইতিপূর্বে ২০০৬-৭ পর্যন্ত তিনি প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন এবং এশিয়ায় জাপানের জ্ঞান-বিজ্ঞান-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রভাব বিস্তারে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রাখেন; তিনি এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে Youth Leadership এর সাথে সাথে প্রতিটি ক্ষেত্রে এশিয়ার যুবক বা তরুনদের জন্য জাপানী Scholarship বা Fellowship এর ব্যবস্থা করেন, যার সুফল আমিও পেয়েছিলাম ২০০৮ -এ, আমাকে JSPN (Japanese Society for Psychiatrists & Neurologists) থেকে মনোনিত করে Invitation letter পাঠানো হয়, আমি আমার Scientific papers উপস্থাপন করে বাংলাদেশের মানসিক রোগের প্রেক্ষিতঃ আলোচনায় এনে Young Fellowship টি সেই ২০০৮ এ পাই, যা এখনো তাদের Website এ রয়েছে।
http://www.jspn.or.jp/modules/english/index.php?content_id=24
আমরা জানিনা কেন কোন কারনে উক্ত বন্দুকধারী ব্যক্তি তাকে এভাবে নৃশংস হত্যা করলো, এতে আশ পাশের কোন পরাশক্তির ইন্ধন আছে কিনা তা-ও এখনো স্পষ্ট নয় তবে শুধু জাপান নয়, সমগ্র এশিয়াজুড়ে আমার মতো অসংখ্য গুনগ্রাহী ও শুভাকাঙ্ক্ষী তার এ মর্মান্তিক মৃত্যুতে স্তম্ভিত। আমরা এ ঘটনা-র দ্রুত তদন্ত ও হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার শীঘ্রই দেখতে পাবো, এ প্রত্যাশা করছি।