যেকোনো কর্মকান্ড যা মানসিক, শারীরিক বা সামাজিকভাবে হানিকারক, এবং নিজের ক্ষতি জেনেও সেই কর্মকাণ্ডের প্রতি ব্যবহারকারীর অপ্রিতিরোধ্য আকাঙ্খার পুনরাবৃত্তিই আসক্তি।
আসক্তি বলতে সাধারণ অর্থে আমরা বুঝে থাকি মাদকাসক্তি।যেমন- মদ, তামাক এবং অনান্য মাদক দ্রব্য ব্যবহার যা গ্রহণ করার ফলে সাময়িকভাবে রক্ত ও মস্তিষ্কের রাসায়নিক দ্রব্যের পারিপার্শ্বিক অবস্থা পরিবর্তন হয়।
কিন্তু আসক্তির তালিকায় মানসিক প্রবৃত্তি সৃষ্টিকারী আরো অনেক বস্তু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেমন- জুয়া, খাদ্য, যৌনতা, কম্পিউটার, ভিডিও গেম, ইন্টারনেট, কর্ম, ধর্ম, দুরদর্শন, শরীরচর্চা ও কেনাকাটা। এই সকলেরই মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার আসক্তি। এবং এসব সাথে সাথে লজ্জা, অপরাধবোধ, ভয়, নিরাশা, ব্যর্থতা, দুশ্চিন্তা, প্রত্যাখ্যান, উদ্বেগ, ব্যাকুলতা ও হীনম্মন্যতার সৃষ্টি করে।
আমেরিকান সোসাইটি অফ এডিকশান মেডিসিন, আসক্তির যে সংজ্ঞা দিয়েছে সেইমতে আসক্তি একটি প্রাথমিক, দীর্ঘস্থায়ী মস্তিষ্ক বা মস্তিস্কজনিত রোগ। মস্তিষ্ক অক্ষমতাজনিত কারণে আসক্ত ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক অভিব্যক্তির বিপর্যয় ঘটে। এর প্রতিচ্ছবি আসক্ত ব্যক্তির ব্যবহারিক অসামঞ্জস্য, স্বেচ্ছাশক্তি হ্রাস পাওয়া ও মাদকদ্রব্যের প্রতি অপ্রিতিরোধ্য আকর্ষণের মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়। যেকোনো দীর্ঘস্থায়ী রোগের মতই আসক্ত ব্যক্তির উপশম ও পুনরধঃপতনের পুনরাবৃত্তি হতে থাকে।সময় থাকতে আসক্তির চিকিৎসা না করলে অকালমৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
তথ্যসুত্রঃ https://en.wikipedia.org