#বৈষম্য_বিরোধী_আন্দোলনে_প্রাইভেট_ভার্সিটি_মাদ্রাসা_মেডিকেল_কলেজের_ছাত্রছাত্রীদের_অবদান_রয়েছে পাকিস্তান আমলে আইয়ুব শাহী-র ‘এন.এস.এফ’ গুন্ডাদের বিরোধীতা থেকে শুরু করে, বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের পর হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরাই সকল যুগে সকল সময়ে স্বৈরাচারী শাসকদেরবিরুদ্ধে ব্জ্র কন্ঠে এগিয়ে এসছে। বিগত ২৪-এর উত্তপ্ত জুলাই এর বীজ ঢাকা ভার্সিটিরমাঝেই সৃষ্টি হয়, ক্রমশঃ তা অগ্নি স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য সকল পাব্লিক ভার্সিটিতে…ঢাবি,জাবি, জবি -র ন্যায় পাব্লিক ভার্সিটি গুলোর ছাত্রাবাস সমূহে যখন ফ্যসিস্ট ছাত্রগুন্ডা ও পুলিশি বর্বরতা চরমে পৌঁছালো,হল কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকটি হল খালি করতে নির্দেশ দিলো, ফ্যসিস্ট সরকারের এ হেন সিদ্ধান্তে ঢাকাস্থ পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ছাত্র ছাত্রীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন চরম প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়লো, আমার কর্মস্থল মিটফোর্ড হাস্পাতালের ছাত্রাবাস ও ছাত্রী নিবাস গুলোও খালি করতে আদেশ দেয়া হয়েছিলো এবং আমি বারংবার মিছিলে আহত হওয়া আতংকিত ছাত্র ছাত্রীদের ফোন পেতে থাকি এবং আমার সাধ্যমত তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসি। ঠিক সেই সময়, বাঁধভাঙা জোয়ার তুলে এগিয়ে এসছিলো আফতাবনগরস্থ East West University, ভাটারাস্থ United University, মেরুলস্থ BRAC University, Canadian Imperial College এবং বসুন্ধরাস্থ NSU, IUB ও AIUB….এবং মিরপুরস্থ BUP, ASA University…. আমার আবাসস্থল এই এলাকায়(Baridhara) হওয়ায় আমি ওদের সাথে আগে থেকেই যুক্ত ছিলাম,আবার East West University এর EEE এর বিভাগীয় প্রধানProf. Mohammad Mojammel Al Hakim আমার অনুজ ভ্রাতা, যিনি এই ভার্সিটি গুলোর ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলন কালীন সময়ে উপদেশ, সাহায্য, সহযোগীতা ও নিয়ন্ত্রন করতেন, আমার আরেকজন বন্ধুবর ও প্রতিবেশী IUB এর Prof.Faruq ও আমাদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন আর BRAC University এর সব্যসাচী অকুতোভয় শিক্ষক মি.আসিফ মাহতাব তো সদাই সোচ্চার ছিলো এবং গ্রেফতার হয়েছিলো, উনারা বসুন্ধরাস্থ প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোর ছাত্র ছাত্রীদের সাহস যুগিয়েছেন; ধীরে ধীরে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর স্টুডেন্টরা ফ্যসিস্ট সরকারের ওপর আক্রোশে ফুঁসে ওঠে…. কিন্তু গতকাল বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের যে নতুন কমিটি হলো, ইহাতে প্রাইভেট ভার্সিটি গুলো থেকে অন্তত ২-৩ জন প্রতিনিধি থাকা উচিৎ ছিলো, আমি নিজে স্যার সলিমূল্লাহ মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের সাথে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অতপ্রোতভাবে যুক্ত থেকেও নিজ এলাকারপ্রাইভেট ভার্সিটিগুলোর ছাত্র ছাত্রীদের সাথে যুক্ত থেকে অত্যন্ত কাছ থেকে তাদের আত্মত্যগ খেয়াল করেছি, তারা ১৮-ই জুলাই রাজপথে না বেরিয়ে এলে গণমানুষের জোয়ার এতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়তো কিনা সন্দেহ আছে ; আমরা ছাত্রদের নতুন দলকে অবশ্য-ই স্বাগত জানাই, আমরা বিশ্বাস করি অবশ্যই ছাত্রদের এই নতুন নেতৃত্ব নব-নব সংস্কারের মাধ্যমে জাতিকে নব্য দিশা দেখাবে,ঘুঁণে ধরা রাজনীতিতে নতুন দিগন্তের উম্মেষ ঘটাবে, জাতিয় নাগরিক কমিটি ও তাদের ছাত্র সংগঠন জেগে উঠুক নব উদ্যোমে তবে অবশ্যই তাদের ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধুবর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই-বোনদের নিয়েই যেনো তা পূর্ণতাপায়, নব-গঠিত দল ‘জাতিয় নাগরিক পার্টি’ বা NCP…এবং আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী স্যার সলিমূল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সেই সময়ের সাহসী মেডিকেল স্টুডেন্টদের অন্তর্ভূক্ত করা উচিৎ। একই সাথে NCP-কে অবশ্য-ই অন্যান্য সকল বর্ষীয়ান গনতান্ত্রিক ফ্যসিস্ট বিরোধী দল গুলোর সাথে সু সম্পর্ক বজায় রেখে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

Leave a Comment