‘শহীদ মিনার’-এর বেদিতে ভন্ডামী করে শান্তির নামে অশান্তির বীজ বুনে এসেছিলো যেসব সেবাদাসরা, তাদের রুখতেই হবে।

অধ্যাপক ডঃ এম. এস. কবীর জুয়েল।

ফ্যাসিবাদের_দোসরদের_রুখতেই_হবে

শহীদ মিনারের বেদিতে ভন্ডামী করে শান্তির নামে অশান্তির বীজ বুনে এসেছিলো যেসব সেবাদাসরা, যেসব তাঁবেদারগণ তাদের প্রত্যেকের Close view photos আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের নিকট র‍য়েছে…
যাদের দেখা গেছে, সবাই ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলো, আমাকেও সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ-এর প্রিন্সিপাল যেতে বলেছিলো, আমি মুখের ওপর না করে দিয়েছিলাম, এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনে SSMC ছাত্র ছাত্রী দের নেতৃত্ব দিচ্ছিলাম, আজ যদি ফ্যাসিবাদের পতন না হতো তাহলে মিটফোর্ডে আর ফেরা হতোনা, সরকারী চাকুরী তো করাই হতোই না, বরং হয়তো জেলে নিয়ে যেতো, অথবা ২০১৭ এর ন্যায় গুমের চেষ্টা চালাতো, এই লেজুড়বৃত্তিক গোষ্ঠী ২০৪১ পর্যন্ত ক্ষমতার দাপট টিকিয়ে রাখতে এতোটাই নিশ্চিত ছিলো যে, তারা হুংকার দিয়ে আহত ছাত্র ছাত্রীদের চিকিৎসা সেবাও ব্যহত করেছিলো, যা সম্পূর্ণভাবে Medical Ethics এর পরিপন্থি, যারা সেই তথাকথিত শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলো, প্রত্যেককে জওয়াবদিহিতার আওতায় আনা উচিৎ,কারন তারা শান্তি সমাবেশের নামে নিরীহ ছাত্র ছাত্রীদের মৃত্যুকে সমর্থন করেছিলো, নিজেদের বিবেক-কে জলাঞ্জলি দিয়ে ফ্যাসিবাদকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলো, এখন এই অমানবিক বিবেকহীনরাই রাতারাতি ভোল পাল্টিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থক সেজেছে, ছাত্রদের পক্ষে বক্তব্য রাখার চেষ্টা করছে, যা এক্কেবারে মেকি ও অভিনয়। তারা এখনো স্বাস্থ্যের মূখ্য পদগুলো দখল করে রেখেছে, তা কক্ষনোই হতে পারেনা, দূর্জন বিদ্যান হলেও–সেই সব প্রফেসরদের সংগ পরিত্যজ্য…
মেডিকেল প্রফেসনে অনেক সৎ-যোগ্য ও ত্যাগী নেতৃত্ব রয়েছে, তারা যেমন Academically eligible তেমনি অত্যন্ত মানবিক গুন সম্পন্ন…
প্রত্যাশা করছি প্রতিটি Subject এর চিকিৎসকগণ নিজ নিজ ক্ষেত্রের প্রকৃৃত ত্যাগী চিকিৎসকদের খুঁজে বের করবেন ও ধীরে ধীরে কমিটিসমূহ নূতনরুপে যোগ্য প্রার্থী দিয়ে সাজাবেন, Society গুলোর নির্বাচন হতে দেরী কিছুদিন দেরী হবে, আপাতত খণ্ডকালীন দায়িত্ব হিসেবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের চিকিৎসকদের নিয়ে ক্ষুদ্র কমিটি গঠন করে কাজ এগিয়ে নিতে হবে, মনে রাখা দরকার — ওবায়দুল হাসান ৫৭ জন বিচারপতি নিয়ে দিল্লির ইশারায় যেভাবে Judicial coup করার চেষ্টা করেছিলো, একই কায়দায় ১৩_১৪ আগষ্ট বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক নিভৃত বাড়িতে ৩০ জন আমলা Civil coup এর পরিকল্পনা এঁটেছিলো, সবগুলোই সচেতন ছাত্ররা ভন্ডুল করে দেয়, সিভিল ক্যু সফল হলেই সব সেক্টরের মহাপরিচালক, পরিচালক, কমিশন প্রধানগণ যোগ দিতেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল-ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রধানগণ আর্মিদের দিয়ে ছাত্রদের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতেন, এভাবেই নস্যাৎ করতে চেয়েছিলো হাজারো কচি প্রাণের রক্তে পাওয়া আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা।

Leave a Comment