অধ্যাপক ডঃ এম. এস. কবীর জুয়েল।

ফ্যাসিবাদী শিক্ষাব্যবস্থা-র আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে স্বৈরাচারী দেশগুলোর শিশুদের পাঠ্যক্রম।

ফ্যাসিবাদী শিক্ষাব্যবস্থা –মনত্মাত্তিক বিশ্লেষণ

In Syria, Thousands & Thousands of Children are deprived from Cognitive Development…
ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচারী শাসকদের নিজ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি কোন Commitment থাকেনা, শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ষড়যন্ত্র চলে সারা বছর, অখাদ্য – কুখাদ্য বিষয় পাঠ্য সূচীতে ঢুকিয়ে দেয়, ভিন দেশের চর-দের লেখা বিতর্কিত পুস্তকে ছিলেবাস পরিপূর্ণ করে তোলে, শিক্ষা অধিদপ্তরে ও নীতি নির্ধারক পর্যায়ে ভিন দেশের এজেন্টদের নিয়োগ দেয়….
সিরিয়ার একজন শিক্ষক ‘মিশেল কিলো’। যিনি সীদনায়া কারাগারে বন্দী ছিলেন। একদিন তিনি প্রহরীর মাধ্যমে বন্দীরত একটি শিশুর কক্ষে যাওয়ার সুযোগ পান, যেখানে শিশুটি ও তার মা ছিলো। শিশুটির বয়স ছিলো প্রায় পাঁচ বছর। তিনি সেখানে শিশুটিকে একটি গল্প শোনাতে গিয়ে বললেন—
একটি পাখি ছিলো….
শিশুটি তখন বললো—পাখি মানে কী?
মিশেল কিলো বললো—এটি একটি গাছের উপর ছিলো।শিশুটি তাকে থামিয়ে দিয়ে আবার বলে উঠলো—গাছ মানে কী?

এবার মিশেল কিলো দুঃখে কান্নায় ভেঙে পড়েন আর প্রহরীকে চিৎকার করে বলেন—আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও।
আমাদের দেশেও ‘মিশেল কিলো’-র মতো শিক্ষকরা আছেন, যারা বিগত ১ যুগ ডুকরে ডুকরে কেঁদেছেন কিন্তু তাদের হাত – পা মুখ বাঁধা ছিলো শক্ত কালো কাপড়ে, তাদের কিছুই করার ছিলো না, আর এ দেশে ও শিক্ষক ও চিকিৎসক — এ দুটো সরকারী ভাবে সবচেয়ে অবহেলিত ক্যাডার অথচ সবচেয়ে মেধাবীরাই এগুলোতে যেতো, এখন যুগোপযোগী চিন্তা করছে নতুন প্রজন্ম, তাই ভালো শিক্ষক পাওয়াটা দূস্কর হয়ে পড়বে।

Leave a Comment