ফ্যাসিবাদী সরকারের হয়ে Name Plate লাগাতে আমার বিবেক কখনোই সায় দিতোনা।
অধ্যাপক ডঃ এম. এস. কবীর জুয়েল।
#ফ্যাসিবাদী_সরকারের_হয়ে_Name_Plate_লাগাতে_আমার_বিবেক_কখনোই_সায়_দিতোনা।
বিনা ভোটের অবৈধ সরকারের প্রতি আমার ঘৃণা এতোটাই বেশী ছিলো যে, আমি আমার সরকারী অফিস কক্ষটিতে ২০১৪-এর পর থেকে কক্ষনোই কোন ‘Name Plate’ নিজে লাগাই নাই ও কৌশলে অন্যদের লাগাতে দেই নাই; কেবল গুম-খুন ও অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদ করা এবং AIS(Amnesty International of South Asia)-এর হয়ে ‘Human Right Activist’ হিসেবে কাজ করার কারনে আমাকেই দু-দুবার গুম করে ফেলার চেষ্টা করা হয়, মহান আল্লাহু আমাকে হেফাজত করেন, আমার পেছনে ছাত্র সংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডার ও হাজি সেলিমের পেটুয়া বাহিনী লাগিয়ে অফিস ভাঙচুর করা হয়, শাসানো হয়, এছাড়াও আমি আমি দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত পদোন্নতি বঞ্চিত ছিলাম; ২০২৩-এর ডিসেম্বরে আমাকে আমার তিনজন ছাত্র(Psychiatrists)-র সাথে ১৪ বছর পর পদোন্নতি দিয়ে সহযোগী অধ্যাপক করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালেই ইন সিটু করে সহকারী অধ্যাপকের স্থানে রাখা হয়, আমি আমার নিজস্ব রোগিদের অভিভাবকদের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য সচিব পর্যায় থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মানসিক বিভাগে সহযোগী হিসেবে পদায়িত হই বিগত ১৩/১২/২৩ ইং স্মারকে DPC এর মাধ্যমে, কিন্তু অদ্যাবধি আমার Joining, DMC তে গ্রহণ করা হয়নি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আমার এ সম্পর্কিত ডজনখানেক application বা আবেদনপ্ত দেয়া আছে কিন্তু দলান্ধ প্রশাসন আজো এর কোন সুরাহা করেনি। তবুও আমি অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সততার সাথে SSMC & Mitford হাসপাতালের মানসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আমার সরকারী টাকা হালাল করে যাচ্ছি, অথচ ২০১২-তে নিজ দেশের রোগীদের সেবা করবো বলে এবং নিজ দেশের মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দান করবো এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করে, প্রায় ১২ গুন বেশী বেতনের মধ্যপ্রাচ্যের লোভনীয় চাকুরী ছেড়ে আমি আমার দেশে ফিরে এসছিলাম। ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরেরা আমার কোন মূল্যায়ন তো করেই নাই বরং Always Devaluated my Credentials….for only Political Vindictiveness.তারা আমার অধীনে ট্রেনিং প্রাপ্ত ‘Assistant Registrar’ ও ‘Medical Officer’ দের Professor হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে আমাকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে রেখে দিয়েছিলো, আমার মনোবল ভাংতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে, চাকুরীতে নানা রকম ঝামেলা পাকিয়েছে, যেনো সরকারী চাকুরীটি ছেড়ে দেই, আমি বরাবর-ই আমার বিদেশী Designations গুলো লিখে আমার অবস্থান অটুট রাখতাম এবং মহান আল্লাহুর ওপর পূর্ণ ভরসা করে চরম ধৈর্য্য ধারণ করে প্রহর গুনতাম, আজ সেই ক্ষণ গননার সমাপ্তি ঘটলো, অবশেষে ৫-ই আগষ্ট বিকেলে পেলাম এক বহু কাঙ্খিত মাহেন্দ্রক্ষণ। এই ফেসবুক পেজেই, যে কোটা আন্দোলনের ক্রমাগত পোস্ট দিয়ে দিয়ে ৩ মাস আগে থেকে এ দেশের ছাত্র ছাত্রীদের আমরা সচেতন করা শুরু করেছিলাম, আজ সেই শ্রমের পরিপূর্ণ ফলাফল অর্জিত হলো।