ADHD এর অজানা কাহিনী।
অধ্যাপক ডঃ এম. এস. কবীর জুয়েল।
অনেক অসুখ-ই কেবল উপসর্গ ভিত্তিক, আলাদা রোগে
বিভক্ত না করলেও হতো, আজ হতে ১৪ বছর আগে প্রবাসে চাকুরীকালে এক সেমিনারে, জনৈক প্রথিতযশা ফার্মাসিস্টের বয়ান শুনে আমি হতবাক হয়েছিলাম, উনি জোর দিয়ে, অত্যন্ত দাবী নিয়ে বল্লেন —
আমি আমার জীবনের ৪১বছর Rhône-Poulenc সহ World এর নামকরা আরো ৩টি Pharmaceuticals এর সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত ছিলাম, মানসিক রোগের বাইবেল ‘DSM-IV’ যখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো, তখন আমি এক Pharmaceuticals এ ছিলাম “American Psychiatric Association” কোনভাবেই ADH কে Disorder বলতে নারাজ, অনেক তর্ক বিতর্ক হলো, যুক্তি উপস্থাপন হলো, এটা Disorder হবেনা, এর মাঝে আমিও আমার কোম্পানি থেকে বক্তব্য দিলাম, আমিও এটককে “Clinical Significance Criterion’ হিসেবে রাখতে বললাম কিন্তু অধিকাংশ ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইহার বিরোধীতা করলো এবং তারা তাদের ফ্যক্টরীতে Methyalphenidate, Dextro-Amphetamine জাতিয় CNS Stimulants এ লগ্নিকৃত টাকা ফেরত চাইলো এবং তখন বেশ কিছু APA মেম্বার তাদের সমর্থন করলো। এভাবেই “অতি চঞ্চলতা” ও ‘অমনোযোগীতা’ মিলে এক নতুন শিশু মনোরোগ-কে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো, যা “Attention Deficit Hyperactivity Disorder” বা ADHD হিসেবে পরিচিত হলো। Thanks to the Economist for exploring the Fact of ADHD.
ছবি-র কিশোর-টি একটি চরম অমনোযোগী ও চঞ্চলিয়া শিশু ছিলো, বাবা মধ্যপ্রাচ্যে চাকুরী করে বিধায়, মা -এর একার শাসনে সে ক্রমান্বয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠতে থাকলো, ওর উপসর্গের শুরুটা ৫-৬ বছর বয়স থেকেই হয়েছিল, দূরন্তপনা ও চঞ্চলতা দিয়ে, দ্রুতই তা আচরনগত সমস্যায় পরিণত হতে থাকে, বয়স ও অনাকাঙ্ক্ষিত আচরনের মাত্রানুযায়ী আমরা ইহাকে ODD হিসেবে চিকিৎসা করেছি।https://www.facebook.com/share/p/1KjXRKwM9L/