এদেশে অনাবশ্যক ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি চলতে থাকে আর জনগুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো অবহেলিত।

অধ্যাপক ডঃ এম. এস. কবীর জুয়েল।

এদেশে অনাবশ্যক ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি চলতে থাকে আর জনগুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো অবহেলিত।

এবারের “২৬-শে জুন আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস”-টি পালিত হলো বেশ নিরবে, নিভৃতে, রাষ্ট্রীয় অনাদরে; যে দেশে প্রায় ২৫% পথশিশুকে মাদকদ্রব্যের বাহক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এদের ৫৮% গ্লু বা সীসা বা ড্যন্ডি বা গাঁজা বা কোন না কোন মাদক নিচ্ছে এ কচি বয়সেই ; স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন ওঠে এই পথ শিশুদের মানসিক বৃদ্ধি কতোটুকু হচ্ছে? ওরা কি আদৌ সুস্থ মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠতে পারবে? নাকি মারাত্মকরুপে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ওদের বাড়ন্ত কৈশোর, ওরা হয়ে পড়ছে অশালীন-অশান্ত-অসৎ; লোভ আর সীমাহীন বেয়াড়া জীবনের হাতছানিতে পা বাড়াচ্ছে এদের প্রায় ২৯ শতাংশ, এদের Chronological development -টা অনেকটা নিম্নরুপ –Conduct Disorder / ADHD (if Untreated and symptoms gradually aggravated)= ODD (Oppositional defiant disorder)/ Adult ADHD ( if Untreated and symptoms turned on Syndromes)= Anti-Social Personality Disorder অর্থাৎ ক্রমশঃ অপরাধী গ্যং লিডারদের সাথে মিশে যেতে থাকে এবং মাদকাসক্তিকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে নেয়। যাদের পরবর্তীতে আমরাই আবার মুরগী মিলন, কসাই জব্বর, কুত্তা কালাইম্মা, ডাইল(ফেন্সিডিল) নাসিম, বাবা(ইয়াবা) নাসির ইত্যাকার Street নামে ডেকে থাকি, কারন তারা সদা অসামাজিক কার্যকলাপ ও অপরাধমূলক কাজেই নিজেদের ব্যস্ত রাখে; কিতাবী ভাষায় এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত রুক্ষ অপরাধপ্রবণ ব্যক্তিত্বকে ‘Anti-Social Personality ‘ বলা হয়ে থাকে, কিন্তু একটু যদি গভীরে হাতড়াই, দেখতে পাবো আমাদের সমাজেরই বাটপার ধনীক শ্রেণীর এক ঝাক কালোহাত এদের এ পথে নামিয়েছে।
সুতরাং এ বিষয়ে সারা দেশব্যাপী সচেতনতা কতোটা আবশ্যক, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা।
তবে দিনটিকে আরো বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় উদ্বোধন করে মহল্লায় মহল্লায় সচেতনতামূলক আলোচনা করা যেতো, ক্ষূদ্র মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্র সমূহে Recovery Addict দের নিয়ে প্রচারণামূলক আয়োজন করা যেতো।
আমি নিজেও সময়াভাবে ও ব্যক্তিগত কারনে কেবল অনলাইনে উপস্থিত হতে পেরেছি দেশী বিদেশী কয়েকটি সেমিনারে, অথচ দেশে আরো অধিক সাড়ম্বরে এমন একটি দিবস পালন হওয়া উচিৎ ছিলো।

Leave a Comment