মাত্রাতিরিক্ত জ্যাম ও ত্রুটিযুক্ত পরিবহণ ব্যবস্থা মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
অধ্যাপক ডঃ এম. এস. কবীর জুয়েল।
গাড়ীর_তেল_খরচ_আর_ঢাকার_জ্যাম_যেনো_পাল্লাপাল্লি_করে_বাড়ছে_Horrific_Traffic_Congestion..
উত্তর “#ঢাকারজ্যাম” আমাদের সত্যি-ই “#মাথা_নষ্ট” করে দিয়েছে, এ-ও সম্ভব আমি কাল ঢাকার গুলশান- ১ নং এর একটা ক্লিনিক হতে রোগীদের দেখে বের হয়েছি বিকেল ৪ঃ৩০ মি.; ভেবেছি বসুন্ধরায় পরিবারের সাথে দেখা করে উত্তরা চেম্বারে যাবো,গুলশান-০২ এ পৌছলাম ৬ঃ১৫ টায়, মাগরিব শেষে এশার আজান শেষ হলো কিন্তু আমি আর চেম্বারে পৌছতে পারলাম না,ঘড়ির কাঁটায় অলরেডি তখন ৮ঃ০০, কেবল এয়ারপোর্ট পার হলাম,ঠিক কচ্ছপসম শ্লথ মন্থর গতিতে ; অবশেষে পৌনে ৯ টায় উত্তরা পৌঁছেছিলাম, আজ ও প্রায় একই সময় পেরিয়ে চেম্বারে পৌঁছলাম—-
ততক্ষনে আমার নিজেরই নিজের ওপর প্রচন্ড রাগ- ক্ষোভ আর বিরক্তি হচ্ছে, কেন ফিরে এসছিলাম এ দেশে? কেন আছি এ দেশে…?
অনাগত ভবিষ্যতের কথা ভেবে শিউরে উঠলাম,
আমরা না হয় কোনরুপ জীবন-টা পার করে দিচ্ছি ; আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের মাথা আদৌ ঠিক থাকবে তো ???
জ্যাম ও আমাদের ত্রুটিপূর্ণ পরিবহণ ব্যবস্থার শিকার হয়ে প্রতি বছর কয়েক লক্ষ নতুন মানসিক রোগী সৃষ্টি হচ্ছে, এদের বেশীর ভাগ-ই ‘নিউরোসিস’ বা Minor Psychiatric Disorder. তবে ভয়ানক দূর্ঘটনায় নিপতিত হওয়ার পরেও মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে গেলে কিংবা নির্মম দূর্ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হলে কোমল মন মানসিকতার অনেকেই সেই দূঃসহ স্মৃতি দীর্ঘদিন ভূলতে পারেনা, অনিচ্ছা সত্ত্বেও বার বার ক্রমাগত অনাকাঙ্ক্ষিত দৃশ্যাবলী সচিত্র(Vivid images with Terrible sufferings) চোখের সামনে আসতেই থাকে, সহ্য করতে পারেনা, প্রথমার্ধে বিষন্নতায় আক্রান্ত হলেও পরে তা অস্বাভবিক কথাবার্তা ও অস্বভাবিক আচরণ সহকারে ভয় তাড়িত নানা বিদঘুটে উপসর্গের সমন্নয়ে প্রকাশ পায়, যাকে ‘সাইকোসিস'(Psychosis) বা Major Mental Disorder বলা হয়।